বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ লাখ বাড়ি নির্মাণ, শুভেন্দুর প্রতিশ্রুতি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেটে (WB Budget 2025) বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৯,৬০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে, ডিসেম্বরে অপেক্ষমাণ ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে…

Suvendu Adhikari Promises Construction of 3 Lakh Houses if BJP Comes to Power

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেটে (WB Budget 2025) বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৯,৬০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে, ডিসেম্বরে অপেক্ষমাণ ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া, যারা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন, তাদের জুন মাসে বকেয়া ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবে, এসব পদক্ষেপের পরও শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন। শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের তিন তলা বাড়ি, ১৭টা-১৮টা বাড়ি, এমনকি ৩৫টা বাড়ি আছে। আসল গরিবদের নাম তালিকায় পাঠানো উচিত। আমি বিধানসভায় দুটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। একটি হলো, গ্রাম সংসদ সভায় বসে উপভোক্তার তালিকা তৈরি করা, আর দ্বিতীয়টি ছিল সর্বদলীয় মিটিংয়ে সেই তালিকা পাশ করা।’

   

শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, এবারের তালিকায় ২.৫ লক্ষ নাম পাঠানো হয়েছে। তার মতে, এতে ভুয়ো নামের পরিমাণ অনেক। উদাহরণস্বরূপ, তিনি নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিডিও’র এফআইআর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, একজন ভুয়ো উপভোক্তা ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। তার দাবি, ‘এটা জনগণের করের টাকা, তাই প্রকল্পে শুধু সঠিক উপভোক্তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘এই ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাড়ি হয় না। তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ লাখ টাকার বাড়ি দেবে। এটা আমি রেকর্ডে বললাম।’

এভাবে, শুভেন্দু অধিকারী শুধু রাজ্য সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরেননি, তিনি বিজেপির পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য রাখেন। তার মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কাছে এই প্রকল্প শুধুমাত্র তাদের দলীয় কর্মীদের জন্য সুবিধা দেওয়ার একটা উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমালোচনা এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারের জন্য আরও বেশি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর এমন অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যের নানা প্রকল্পের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ মাঝেমধ্যে শোনা যায়। তবে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সব অভিযোগের কোন সদুত্তর না আসায়, এসব বিতর্ক আরো ঘনীভূত হতে পারে।

রাজ্যের এই আবাসন প্রকল্প এবং শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ এক নতুন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক মহলে এটি ইতিমধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক নেতাদের এই ধরনের অভিযোগ এবং সমালোচনার মাঝেই রাজ্যের ভবিষ্যত আবাসন নীতির ওপর আরও প্রশ্ন উঠছে।

এখন, রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের বাস্তবায়ন যদি সঠিকভাবে না হয়, তবে আগামীতে এর প্রভাব বড় হতে পারে।