কয়েকদিন আগে মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh) স্নানে অংশগ্রহণ করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) । গত ২ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর দিন বিশেষ স্নান সারলেন তিনি৷ পরনে গেরুয়া বসন৷ মাথায় গেরুয়া টিপ৷ একেবারে সন্ন্যাসীনির বেশে দেখা গিয়েছিল বাংলার দিদি নং-১কে।
শুধু পূর্ণস্নান নয় মহাকুম্ভের (Mahakumbh) সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন যোগী সরকারকে। রচনা বলেন, ‘‘দারুণ এক অভিজ্ঞতা হল। ওখানকার ব্যবস্থাপনা সত্যই সুন্দর। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। সেটা ঘটে গিয়েছে। তবে কুর্নিশ জানাব মেলার আয়োজকদের। কোটি কোটি মানুষের শৌচাগার থেকে শুরু করে থাকার ব্যবস্থা, জলে নেমে যাতে কেউ ডুবে না যান, সে জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা-সবটাই করা হয়েছে৷ এ এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। দুর্ঘটনার পর আরও বেশি তৎপর ও সতর্ক হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷’’
প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমের পাশাপাশি বাংলাতেও একটি ত্রিবেণী (Tribeni Hooghly) রয়েছে। এটি দক্ষিণের ত্রিবেণী হিসেবেও পরিচিত। হুগলির ত্রিবেণীকে বিশেষভাবে মুক্তবেণী বলা হয়। প্রতি বছর বহু পুণ্যার্থী সমবেত হন। ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে ত্রিবেণী তীরে অনেক পুণ্যার্থীর ভিড় দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rachana Banerjee) । তবে এবার স্নান না করে তিনি গঙ্গাজল মাথায় ছিটিয়ে ধর্মীয় তীর্থযাত্রার রীতিনীতি পালন করেন। তিনি জানান, “মহাকুম্ভে স্নান করেছি, গঙ্গাজল মাথায় নিলাম। এখানে আর স্নান করলাম না।”
প্রয়াগরাজে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) কমলা পোশাক পরে স্নান করেছিলেন। হুগলির ত্রিবেণীতে এসে তিনি সবুজ শাড়ি পরেছিলেন। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি কালার থেরাপি করি।” অর্থাৎ, পোশাকের রঙ তার আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার অংশ হতে পারে বলে মনে করেন রচনা।