চূড়ান্ত হল মোহনবাগানের এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং, জানুন বিস্তারিত

মোহনবাগান ( Mohun Bagan) আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ক্লাব তাঁবুতে তাদের ১৭তম এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ের (Executive Committee Meeting) নোটিস জারি করেছে। মিটিংটি শুরু হবে দুপুর…

মোহনবাগান ( Mohun Bagan) আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ক্লাব তাঁবুতে তাদের ১৭তম এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ের (Executive Committee Meeting) নোটিস জারি করেছে। মিটিংটি শুরু হবে দুপুর সাড়ে তিনটায়। মিটিংয়ের মূল বিষয় হবে গত ১৮ জানুয়ারি আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা। বিশেষভাবে বার্ষিক সভায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল মোহনবাগানের নির্বাচন। ফলে আগামী শনিবারের মিটিংয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই আশঙ্কা এবং প্রত্যাশা চলছে ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে।

এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে মোহনবাগানের ১৬তম এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ে নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। সেখানে একাধিক আলোচনার পর কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে এবারের মিটিংয়ে গত বছরের আলোচনা গুলি পুনঃপ্রত্যাহার করা হতে পারে এবং সেগুলোর উপর সিলমোহর দেওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

   

মোহনবাগানের বর্তমান কার্যকরী কমিটির মেয়াদ ২৮ মার্চ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ক্লাবের মধ্যে নতুন নির্বাচনের দাবী জোরালো হচ্ছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় অনেক সমর্থক এই দাবী তুলেছিলেন যে সময়মতো নির্বাচন আয়োজন করে নতুন কমিটি গঠন করা উচিত। প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোস এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন এবং তিনি ‘রুলবুক’ তুলে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে, সোসাইটি হিসাবে রেজিস্টার্ড কোনো ক্লাবের কার্যকরী কমিটি তিন বছরের বেশি ক্ষমতা ভোগ করতে পারে না। তাই ক্লাবে দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবী জানিয়েছিলেন।

বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে এবং অনেক সমর্থক এবং সদস্য মনে করছেন, নতুন নির্বাচন ছাড়া ক্লাবের সুষ্ঠু পরিচালনা সম্ভব নয়। শনিবারের এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ে এই বিষয়গুলোর ওপর গভীর আলোচনা হতে পারে এবং নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে, যা সমর্থকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

এছাড়া এই মিটিংয়ে ক্রীড়া বিষয়ক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ক্লাবের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নির্বাচনের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, তা নিয়েই সবকিছু নির্ভর করছে।