ভারত G-২০ দেশের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জন করেছে, এবং সোলার এনার্জি ক্যাপাসিটিতে ৩২ গুণ বৃদ্ধি করে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সোলার উৎপাদক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৫ সালের ইন্ডিয়া এনার্জি উইক উদ্বোধনকালে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত G-২০ দেশের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জন করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “গত ১০ বছরে, আমরা আমাদের সোলার এনার্জি উৎপাদন ক্ষমতা ৩২ গুণ বৃদ্ধি করেছি। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সোলার পাওয়ার উৎপাদক দেশ। আমাদের নন-ফসিল ফুয়েল এনার্জি ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত G-২০ দেশগুলির মধ্যে প্রথম দেশ, যারা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জন করেছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এথানল ব্লেন্ডিংয়ের লক্ষ্য অর্জনে সময়ের আগেই এগিয়ে রয়েছে। আজ ভারত ১৯ শতাংশ এথানল ব্লেন্ডিং করছে। এর ফলে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে এবং কৃষকদের আয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও, CO2 নির্গমন কমাতে অনেক সহায়তা হয়েছে। আমরা অক্টোবের ২০২৫ এর আগেই ২০ শতাংশ এথানল ব্লেন্ডিংয়ের লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছি।”
#WATCH | Addressing the opening ceremony of India Energy Week 2025 virtually, PM Modi says, “In the last 10 years, India has become the 5th largest economy and we have doubled our solar generation capacity. Today, India is the 3rd largest solar power-generating nation… Our… pic.twitter.com/jrIDmgHzRS
— ANI (@ANI) February 11, 2025
প্রধানমন্ত্রী মোদি আগামী পাঁচ বছরে অর্জন করার জন্য বিভিন্ন সবুজ শক্তির লক্ষ্যও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষমতা যোগ করবে, এবং ভারতের জাতীয় পরিবহন ব্যবস্থা, ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ, একই বছর নেট জিরো কার্বন এমিশনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “পরবর্তী দুই দশক ‘বিকসিত ভারত’ এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী পাঁচ বছরে, আমরা একাধিক বড় মাইলফলক অতিক্রম করব। আমাদের বেশ কিছু শক্তি লক্ষ্য ২০৩০ সালের ডেডলাইন অনুযায়ী সমন্বিত করা হয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষমতা যোগ করতে চাই। ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ ২০৩০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বন এমিশনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হয়তো খুবই দুঃসাহসিক মনে হতে পারে, তবে গত ১০ বছরে ভারত যা অর্জন করেছে, তা আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে আমরা এই লক্ষ্যগুলোও পূর্ণ করতে পারব”।
VIDEO | PM Modi (@narendramodi) virtually addresses the India Energy Week (@IndiaEnergyWeek).
“The next two decades are very crucial for ‘Viksit Bharat’. In the next five years, we will be crossing several big milestones. Several of our energy goals have been aligned according… pic.twitter.com/MoQNezm1qL
— Press Trust of India (@PTI_News) February 11, 2025
ভারত তার শক্তি ক্ষেত্রের পরিবর্তনে বিশাল উদ্যোগ নিয়েছে, যা শুধু দেশের উন্নতির জন্যই নয়, পরিবেশ সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে। ভারতের এই সাফল্য বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও পরিবেশবান্ধব শক্তির দিকে আরও আগ্রহী করে তুলতে সহায়তা করবে।
২০২৫ সালের ইন্ডিয়া এনার্জি উইক-এ প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, ভারত তার শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃস্থানীয় দেশ হতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যে সব লক্ষ্য পূর্ণ করতে ভারত সম্মত, তা কেবল পরিবেশগত দিক থেকেই নয়, দেশের আর্থিক উন্নতি ও শক্তি নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে, ভারত তার শক্তি ক্ষেত্রের লক্ষ্য পূরণে যেভাবে এগিয়ে চলছে, তা শুধু দেশের জন্য নয়, বিশ্বমঞ্চে ভারতকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে।