ব্রিজ থেকে খাদে পড়ল যাত্রীবোঝাই বাস, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ৫৫

গুয়াতেমালায় (Guatemala) এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা দেশকে শোকের ছায়ায় ডুবিয়ে দিয়েছে। ১১৫ ফুট উঁচু একটি ব্রিজ থেকে খাদে পড়ে এক যাত্রীবাহী বাসের ধ্বংসস্তুপের…

55 Dead as Bus Plunges 115 Feet into Gorge in Guatemala

গুয়াতেমালায় (Guatemala) এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা গোটা দেশকে শোকের ছায়ায় ডুবিয়ে দিয়েছে। ১১৫ ফুট উঁচু একটি ব্রিজ থেকে খাদে পড়ে এক যাত্রীবাহী বাসের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েন ৫৫ জন যাত্রী। সোমবারের এই দুর্ঘটনায় ৫৩ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসার সময় আরও ২ জন মারা যান। এই ঘটনায় দেশটির জনগণ গভীর শোকাহত, এবং প্রেসিডেন্ট বেরনার্দো আরেভায়ো শোক প্রকাশ করেছেন।

দমকল বিভাগের আধিকারিক এডবিন বিলাগ্রান জানিয়েছেন, বাসটি রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রোগেসো থেকে আসছিল, এবং গন্তব্য ছিল গুয়াতেমালা শহর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল একটি ব্রিজের উপর, যেখানে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একাধিক গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের রেলিং ভেঙে ১১৫ ফুট নিচে পড়ে যায়। বাসটি পড়ে যাওয়ার পর তা একটি নালায় গিয়ে পড়ে, যেখানে নোংরা পানিতে ডুবে যায় বাসটির সামনের অংশ। দুর্ঘটনায় বাসে থাকা ৫৩ জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং গুরুতর আহতদের মধ্যে আরও ২ জন মারা যান হাসপাতালে।

   

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কাজ শুরু করেন এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সান জুয়ান দে দিওস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে কিছু শিশুও ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটি কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারপর একাধিক গাড়িকে ধাক্কা মেরে ব্রিজের রেলিং ভেঙে নিচে পড়েছিল। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানিয়েছেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বেরনার্দো আরেভায়ো।

দেশটির প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি শোকবার্তা প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি বলেন, “যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের যাতে ভাল চিকিৎসা সেবা মেলে, সে জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

গুয়াতেমালার সরকার এ ঘটনায় একটি তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সহায়তা ও শোকবিহীন পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, দুর্ঘটনাটি মূলত বাসের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর বাসটি তীব্র গতিতে একাধিক গাড়ি আঘাত করে এবং ব্রিজের রেলিং ভেঙে ১১৫ ফুট নিচে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

এই দুর্ঘটনার পর গুয়াতেমালার সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় প্রশাসন গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।