ভারতের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়, যা প্রধানত আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের মূল্য, রুপি-ডলার এক্সচেঞ্জ রেট এবং সরকারের ট্যাক্স পলিসির ওপর নির্ভরশীল। গত কয়েক মাসে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে থাকলেও, দেশের অভ্যন্তরীণ ট্যাক্স এবং শুল্কের কারণে ভোক্তাদের পক্ষে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে থেকেছে।
ভারতীয় মুদ্রা এবং মার্কিন ডলারের মানের উপরও পেট্রোল ও ডিজেলের দামের ওঠানামা নির্ভর করে। যদি রুপি দুর্বল হয়, তবে তেলের আমদানির খরচ বাড়ে, যার ফলে খুচরো দামে দামে বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম পরিবর্তিত হওয়ার ফলে ভারতের বাজারে পেট্রোল এবং ডিজেলের দামও ওঠানামা করছে। যেহেতু ভারত তার তেলের অধিকাংশ আমদানি করে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম এবং এক্সচেঞ্জ রেট সরাসরি খুচরো বাজারে পড়ে
আজ পেট্রোলের দাম নতুন দিল্লিতে ৯৪.৭৭ টাকা প্রতি লিটার, মুম্বাই তে ১০৩.৫০ টাকা প্রতি লিটার। কলকাতায় বরাবরের মতোই পেট্রোলের দাম উর্ধমুখী কলকাতায় আজ ১০৫.০১ টাকা প্রতি লিটার দরে বিকোবে পেট্রল। চেন্নাই তে এই দর অনেক কম যা ১০০.৮০ টাকা প্রতি লিটার। ডিজেলের দাম আজ নতুন দিল্লিতে থাকছে ৮৭.৬৭ টাকা প্রতি লিটার তেমনি মুম্বাইতে তা হয়েছে ৯০.০৩ টাকা প্রতি লিটার। কলকাতা তে আজ ডিজেলের দাম কিছুটা স্থিতিশীল যা পাওয়া যাবে ৯১.৮২ টাকা প্রতি লিটার দরে। চেন্নাইতে এই দর আজ একটু বেশি যা ৯২.৪৮ প্রতি লিটার হয়েছে।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়লে, তার প্রভাব সরাসরি গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন এবং অন্যান্য পরিষেবার ওপর পড়ে। এর ফলে অন্যান্য দৈনন্দিন খরচ যেমন খাদ্য, পোশাক, চিকিৎসা ইত্যাদির দামও বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পায়, যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে। ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম একাধিক অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক কারণে পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে অপরিশোধিত তেলের মূল্য, এক্সচেঞ্জ রেট এবং সরকারের ট্যাক্স নীতি প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে। এই ধরনের দামের ওঠানামা ক্রেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।