ইতিমধ্যেই ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তাকেই নিশানা করলো ই ই উ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মার্কিন পণ্যের উপরেও বসানো হবে শাস্তি শুল্ক। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি সারা বিশ্বের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে। গত বছর, তিনি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। যদিও ট্রাম্পের সরকারের দাবি ছিল যে, এটি মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী হবে, কিন্তু এর ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছিল এবং শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকার পণ্যের উপর শাস্তি শুল্ক আরোপ করা হবে। এর ফলে, ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও কঠিন হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা এই শুল্কের বিরোধিতা করছি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কে অহেতুক নিশানা করার চেষ্টা করে তবে তার এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করা হবে।” ফরাসি বিদেশমন্ত্রী জঁ নোবেল ব্যরো আরো বলেছেন ২০১৮ সালে ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির প্রতিবাদ করেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের এই নতুন অধ্যায়কে তাই পর্যবেক্ষকরা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে শুল্ক আরোপের এই বিষয়টি কেবল দুটি পক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংস্থার (WTO) ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, যারা সম্ভাব্য শুল্ক যুদ্ধের অবসান সাধনের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের শাস্তি শুল্কের এই প্রতিক্রিয়া, উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এখন দেখতে হবে, এই শুল্ক যুদ্ধ কিভাবে ভবিষ্যতে আরও তীব্রতা লাভ করে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে কতটুকু প্রভাবিত করে।