বাংলা ফুটবলের (Bengal Football) নতুন মুখ রবি হাঁসদা (Robi Hansda)। সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) বড়ে মিঞা মহম্মদ হাবিবের (Mohammed Habib) দীর্ঘদিনের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড ভেঙে তিনি এখন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। তবে, তার এই অর্জন কেবল ব্যক্তিগত নয়। পুরো বাংলা ফুটবলের (Bengal Football Team) জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ২০২৫ কলকাতা বইমেলার (Kolkata Bok Fair 2025) শেষ দিনে আইএফএ (IFA) স্টলে এসে রবি হাঁসদা যেমন তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, তেমনি তিনি জানিয়েছেন এই অর্জনের পিছনে তার কঠোর পরিশ্রম এবং দলগত সহায়তার কথা।
কলকাতা বইমেলার আইএফএ স্টলে আসার পর রবি হাঁসদা বলেন, “এত লোকজন, এত উৎসাহ–এই জায়গায় এসে খুব ভালো লাগছে। স্টল প্রদর্শন করার জন্য এই ধরনের সুযোগ পাওয়া সত্যিই আনন্দের।” তিনি আরও বলেন, ফুটবল মাঠে দর্শকদের সমর্থন সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ধরনের আয়োজনে অংশগ্রহণ তাকে আরও অনুপ্রাণিত করে।
যখন প্রশ্ন করা হয়, সন্তোষ ট্রফিতে মহম্মদ হাবিবের রেকর্ড ভাঙার দিন তার অনুভূতি কেমন ছিল? রবি হাঁসদা বলেন, “হ্যাঁ, মহম্মদ হাবিবের রেকর্ড ভেঙেছি। তবে সেই মুহূর্তে আমি খুব আনন্দিত হতে পারিনি। কারণ আমি শুধু নিজের রেকর্ড ভাঙার জন্য মাঠে নামিনি, বরং আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা সেই সময় জয়লাভের জন্য মরিয়া হয়ে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে যখন আমরা গোল করলাম, তখন দলে এক উচ্ছ্বাস ছিল। কিন্তু সেই সময় ব্যক্তিগত কোনো আনন্দের কথা মনে পড়েনি।”
রবি হাঁসদার এই বক্তব্যে ফুটবল ম্যাচের দলগত আবেগ ও লক্ষ্যের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। সন্তোষ ট্রফি জয়ের আনন্দ তার ব্যক্তিগত অর্জনের থেকেও অনেক বেশি ছিল। তার মতে, এই জয় শুধু তার নয়, বরং পুরো বাংলা ফুটবলের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।রবি হাঁসদার কষ্টসাধ্য যাত্রা এক বড় প্রমাণ, যে ত্যাগ এবং কঠোর পরিশ্রমই সফলতার মূল চাবিকাঠি। তার জন্য প্রতিটি ম্যাচই এক শিক্ষা এবং এখন তিনি বাংলা ফুটবলের এক নতুন পরিচিতি হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তিনি মহামেডানের হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত।