হরিয়ানা, সোনিপথে (Sonepat) ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। ২০ বছরের (20 Year Old) যুবক বংশ (Vansh), সোনিপথের (Sonepat) একজন প্রতিভাবান ভারোত্তোলক (Powerlifter) হিসেবে পরিচিত ছিল। তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল সোনার পদক দিয়ে, ২০২৩ সালে জেলা পর্যায়ে ৭৪ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিল। এই সাফল্যের পর, ২০২৪ সালে দিল্লিতে জাতীয় স্তরে রুপো জিতেছিল। এর ফলে তার নাম সোনিপথের আকাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। ভারোত্তোলন ছিল তার পেশা, তার স্বপ্ন ছিল ভারতীয় খেলাধুলায় নিজের পরিচিতি গড়ে তোলা। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, তার স্বপ্ন সেদিন মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে যায়।
রবিবার দুপুরে বংশ তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল প্রগতি নগরে। সেখানেই ঘটে যায় সেই অঘটন। যখন সে রাস্তার এক কোণে তার বাইক পার্ক করে দাঁড়িয়েছিল, তখন কুলদীপ নামে এক ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে এসে হর্ন বাজাতে থাকে। গাড়ি পার্কিং নিয়ে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। কুলদীপ দাবি করেন, ভনস তার বাইকটি এমনভাবে পার্ক করেছে যে তার গাড়ি সেখানে দিয়ে যেতে পারছে না। তবে, বংশ তার অবস্থান নিয়ে একদম অনড় ছিল এবং দাবি করেছিল যে গাড়ি যেতে পারার জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।
এই উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, বংশের দুই বন্ধু অক্ষিতা এবং বংশিকা সেখানে চলে আসেন এবং তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কুলদীপের আক্রমণাত্মক মনোভাব কমে না। তার রাগ এতটাই অশান্ত হয় যে, সে গাড়ি থেকে এক বন্দুক বের করে বংশের দিকে গুলি চালায়। গুলি গলা, বুক এবং মুখে লাগে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন বংশকে।
ঘটনায় কুলদীপ নামক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে তিনি সেই সময় মত্ত অবস্থায় ছিল। এই ঘটনায় সোনিপথের ক্রীড়ামহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বংশের মৃত্যু শুধু তার পরিবার ও বন্ধুদের জন্যই নয়, সোনিপতের ক্রীড়াক্ষেত্রের জন্যও এক বড় ক্ষতি। তার মতো প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ, যে জাতীয় স্তরে কৃতিত্ব অর্জন করেছিল, তাকে এভাবে অকালে হারানো সত্যিই এক দুঃখজনক ঘটনা।