মিটিং মিছিল কে অজুহাত করে সরকারি পরিষেবায় ফাঁকি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা, এমন ই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নয়া চিকিৎসা বিষয়ক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ হেল্থ এসোসিয়েশনের অধিবেশনে। গত শনিবার এই কার্যনির্বাহী সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তাতেই কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা মিটিং মিছিলের নাম করে চিকিৎসায় অবহেলা করছেন।
প্রোগ্রেসিভ হেল্থ এসোসিয়েশনের সভায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তারা রাজনৈতিক মিটিং ও মিছিলে অংশ নেওয়ার অজুহাতে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন না। এর ফলে রোগীদের চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটছে এবং সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠনের এক নেতা বলেন, “কিছু চিকিৎসক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, তারা সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত উপস্থিত থাকেননা । এর ফলে রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।”
এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে রোগীদের ভোগান্তির কথাও উঠে এসেছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর অভিভাবক বলেন, “ডাক্তারবাবুদের অনেক সময় পাওয়া যায় না। অপেক্ষা করতে করতে আমাদের কষ্ট হয়। যদি তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে রোগীদের সুবিধা হতো।”
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের উচিত চিকিৎসকদের উপস্থিতি ও দায়িত্ব পালন নিয়ে কঠোর নজরদারি করা। প্রোগ্রেসিভ হেল্থ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সংগঠনের সভানেত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন দরকারে সংগঠন আরো সম্প্রসারণ করা হবে এমনকি প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন হবে।
চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। প্রোগ্রেসিভ হেল্থ এসোসিয়েশনের এই সভায় চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে রোগীদের সেবায় আরও বেশি মনোযোগী হবেন।