মৌনি অমাবস্য়া, বসন্ত পঞ্চমীর মতো মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষেও প্রতি বছর কোটি কোটি ভক্তের আগমন ঘটে মহাকুম্ভে। এদিকে পুণ্যস্নানের জন্য উপচে পড়া ভিড় রেল স্টেশন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে। তবে এই বছর মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে এক বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways) কর্তৃপক্ষ। প্রয়াগরাজ (Prayagraj) সঙ্গম স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে মৌনি অমাবস্যার মতো অবস্থা না হয়। ফলে এবার এই স্টেশনে এসে পুণ্যস্নান করা সম্ভব হবে না।
প্রয়াগরাজের মাঘী পূর্ণিমার দিন ঐতিহ্যবাহী পুণ্যস্নানে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতি বছরই এক বিশাল জনসমুদ্র সমবেত হয় পবিত্র স্নানে অংশ নিতে। এবার ১২ ফেব্রুয়ারি পড়েছে মাঘী পূর্ণিমা। এই দিনে মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) পুণ্যস্নান করতে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন। আরও পুণ্যার্থীরা আসছেন দলে দলে। ক্রমাগত ভিড় বাড়ায় কার্যত ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে প্রয়াগরাজে (Prayagraj)। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে জ্যাম আটকে আছেন শরণার্থীরা। ৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতেই ২ ঘণ্টা সময় লাগছে।
কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঙ্কটের কারণে এবার কর্তৃপক্ষ প্রয়াগরাজ রেলওয়ে স্টেশনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্টেশনের ভিড় নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অব্যাহত ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত না হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । এর ফলে ভক্তদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অন্য স্টেশনগুলো থেকে ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে।
এদিকে, রেলওয়ে (Indian Railways) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়াগরাজ স্টেশনের অন্যান্য গেটগুলোও বন্ধ রাখা হবে। চেকপোস্ট গুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। ভক্তরা যাতে সঠিক পথে পৌঁছাতে পারেন, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, পর্যটকদের জন্য বিশেষ তথ্য কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সঠিক ভাবে গন্তব্যে যেতে পারেন।
পাশাপাশি কুম্ভমেলার জন্য চালু আধ ডজনেরও বেশি ট্রেনকে বিকল্প রুটে প্রয়াগ স্টেশনে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্ত ট্রেন প্রয়াগরাজ জংশন থেকে চলাচল করবে।
পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ঘটে। ভক্তদের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানেও পুণ্যস্নান করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, স্টেশন বন্ধ করার ফলে ভক্তদের জন্য কিছুটা অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।