মৈপীঠ:
ফের লোকালয়ে বাঘের হানা৷ দক্ষিণরায়ের মুখে পড়লেন খোদ বনকর্মী৷ ওই বনকর্মীকে বাঁচাতে ক্রমাগত লাঠিপেটা করা হয় বাঘটিকে৷ এর পরেও বনক র্মীকে ছাড়তে নারাজ বাঘ৷ ভয়ঙ্কর এক দৃষ্য চাক্ষুষ করল মৈপীঠ৷
গতকালই মৈপীঠে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বাঘটি। পায়ের ছাপ দেখে রাতেই জাল পাতেন বনকর্মীরা৷ আজ সকাল হতেই তাঁরা ফাঁদের দিকে যান, বাঘ ধরা পড়েছে কিনা দেখতে৷ বনকর্মীরা যখন বাঘের খোঁজে এদিকে, ওদিকে ঘুরছেন তখন সর্ষের ক্ষেত থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঘটি। বনকর্মীদের একদম সামনাসামনি চলে আসে৷ তাঁরা বাঘটিকে বাগে আনার আগেই বাঘটি এক বনকর্মীর ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ে৷ তাঁকে বাঘের কবল থেকে মুক্ত করতে ক্রমাগত লাঠি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করেন বনকর্মীকে। কিন্তু লাঠির বাড়ি খেয়েও বাঘটি বনকর্মীকে ছাড়ছিল না৷ ভয়ঙ্কর ভাবে কামড়ে ধরে রাখে৷ বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালানোর পর কোনও ভাবে তাঁকে বাঘের খপ্পর থেকে বার করে আনেন বনকর্মীরা৷ তড়ঘড়ি কুলতলির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত টাইগার টিমের সদস্য গণেশ শ্যামলকে৷
রবিবার রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান বন দফতরের রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত নলগোড়া বিট অফিসের বনকর্মীরা। খবর দেওয়া হয়েছিল মৈপীঠ উপকূল থানাতেও। বাঘটি রাতের অন্ধকারে যাতে গ্রামের মধ্যে ঢুকে না পরে, তা নিশ্চিত করতে নগেনাবাদ ৯ নম্বর মুলার জেটি ঘাটের কাছে গ্রামের দিক বরাবর নাইলনের জাল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই রাতে বাঘটি গ্রামে ঢুকতে পারেনি৷ সকালে বনকর্মীরা খবর পান, রয়্যাল বেঙ্গলটি নাইলনের জালের আশপাশেই কোথাও রয়েছে। সেইমতো বাঘবন্দি করতে রওনা দেয় স্থানীয় টাইগার টিমের সদস্যেরা৷ সেই সময়েই গণেশ শ্যামলের উপর বাঘটি হামলা করে দক্ষিণরায়৷