বিজেপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর, মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মারলেনা রবিবার রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার সাথে সাক্ষাৎ করে তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিজেপি নির্বাচনে ৭০ টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসন জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি ২২ টি আসন জয়লাভ করেছে। জাতীয় কনভেনর অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া, সওরভ ভরদ্বাজের মতো নেতারা পরাজিত হলেও, অতীশী ক্যালকাজি আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। দিল্লির রাজনীতিতে এই ফলাফল কার্যত পরিবর্তন এনেছে, যেখানে বিজেপি প্রায় ২৭ বছরের পর আবার ক্ষমতায় ফিরেছে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কে আসবেন তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে নবনির্বাচিত নয়া দিল্লির আসনের বিধায়ক পার্বেশ ভার্মাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৪,০০০ ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক অগ্নিপরীক্ষায় সফল হয়েছেন। ভার্মা, যিনি পশ্চিম দিল্লি থেকে দুইবার সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, গত বছর সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি, কিন্তু এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেছেন।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের পর, বিজেপি নতুন সরকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। এতে এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অন্যদিকে আতীশী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মাত্র পাঁচ মাস দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়ে সরে গেলে আতীশী মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। তবে এই নির্বাচন এবং কেজরিওয়ালের পরাজয়ের পর তিনি জনগণের রায় মেনে নেন। কেজরিওয়াল এর মতে, “জনগণের রায়ই সর্বোচ্চ, আমি বিজেপিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আশা করি তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
রাজনীতির এই নাটকীয় পরিবর্তন দিল্লির রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি নতুন মোড় এনে দিয়েছে। আতীশীর পদত্যাগের পর, বিজেপির জয়ের পথে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূর্ণ করার জন্য নতুন মুখের সন্ধান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।