আজ সকাল থেকেই দেশের মানুষের নজর ছিল দিল্লির নির্বাচনের ফলাফলের উপর। সাত সকালেই পদ্ম ঝড়ে কার্যত বিধস্ত এ কে ৫৬ শিবির। “আমরা মানুষের সেবা করতে চাই , কোনো পদের আশা করিনা” জয়ের মুখে ঠিক এরকমই বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরী। বিধুরী আরও বলেন, “আমরা কোনও নির্বাচনী পদ পাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, তা হল জনগণের জন্য কাজ করা এবং তাদের সমস্যাগুলি সমাধান করা। আমরা সব সময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি।”
রমেশ বিধুরী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন বিশিষ্ট নেতা। তিনি দিল্লি থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ভারতের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মূলত দিল্লি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এবং তিনি বিজেপির শক্তিশালী নেতা হিসেবে পরিচিত।
তিনি প্রথমবার ২০০৫ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে তিনি বিজেপির টিকিটে দিল্লি থেকে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এরপর তিনি ২০১৯ সালে আবারও একই আসন থেকে নির্বাচিত হন। রমেশ বিধুরী, বিজেপির জাতীয় রাজনীতির অংশ হিসেবে, সরকারের নীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
রমেশ বিধুরী ভারতের রাজনীতিতে কিছু বিতর্কিত এবং তীব্র মন্তব্যের জন্য পরিচিত। তিনি কখনও কখনও তীব্র ভাষায় মন্তব্য করেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তাঁর মন্তব্য সাধারণত তার রাজনৈতিক আদর্শ এবং দলের উদ্দেশ্যকে তুলে ধরার জন্য হয়ে থাকে, তবে কখনও কখনও তিনি বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিজেপি শিবির থেকে বার বার অসন্তোষ জানানো হয়েছে আপ এর কর্ম কাণ্ডের উপর। তাদের বক্তব্য অরবিন্দ কেজরিবালের দুর্নীতিতে যোগ সাধারণ মানুষের মনস্তত্ত্বে প্রভাব ফেলেছে, যার প্রতিফলন পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে। বিধুরী সাফ জানিয়েছেন “কোনোরকম দলীয় বা রাজনৈতিক পদের আশা না করে আমরা মানুষের জন্য কাজ করবো।” ইতিমধ্যেই আয়ুষ যোজনা চালু করার কথা জানানো হয়েছে দলের তরফ থেকে। এবার কার্যত সময়ের অপেক্ষা বিজেপির দিল্লি দখলের এবং সেই সঙ্গে হাতছাড়া হতে চলেছে কেজরীবালের হ্যাটট্রিক চান্স।