রাজধানীর রায়, দিল্লি দখলের মঞ্চে এবার চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আম আদমি পার্টি (AAP) কী হ্যাটট্রিক করবে নাকি ২৭ বছর পর দিল্লি দখল করবে বিজেপি? এই প্রশ্নই এখন দেশজুড়ে অন্যতম চর্চার বিষয়। ভোটগণনা চলছে, আর তার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্তেই জল্পনা এবং উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। দিল্লির দরবারের দখল কবে যাবে? কে হতে চলেছেন আগামী মুখ্যমন্ত্রী? এই উত্তর জানার জন্য গোটা দেশ আজ চোখ রাখছে গণনা কেন্দ্রের দিকে।
এবারের দিল্লি নির্বাচন ফলাফলের দিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ২০১৫ সালের পরে, আম আদমি পার্টি একের পর এক নির্বাচনে জয়লাভ করে আসছে। তারা কী এবারও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে, নাকি বিজেপি তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধিতার পর আরও একটি বড় বিজয়ের পথে হাঁটবে? এই প্রশ্নই এখন রাজধানী এবং সারা দেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রে।
ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রে ফলাফলের আপডেট আসতে শুরু করেছে। সকাল থেকেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সমর্থকরা ফলাফল নিয়ে উত্তেজিত। রাস্তায় চলছে হইচই, সমর্থকরা তাদের দলকে জয়ী করার জন্য প্রস্তুত, অন্যদিকে বিরোধী দলের সমর্থকরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছে।
এমন সময়ে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক টুইট করে কিছুটা সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যে অস্থিরতা এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে চলছিল, তার ফলেই বিজেপি দিল্লি নির্বাচনে সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আরও ঝগড়া করো নিজেদের মধ্যে।’’ তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, কারণ বিজেপির একাধিক নেতারা তার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন।
এখন দেখার বিষয় হলো, শেষ পর্যন্ত কিভাবে ভোটগণনা শেষ হয় এবং কোন দল জয়ী হয়। আম আদমি পার্টি হ্যাটট্রিক করবে, নাকি বিজেপি ২৭ বছর পর দিল্লি দখল করবে—এই প্রশ্নের উত্তর অদূর ভবিষ্যতে সামনে আসবে।