সোনার ছেলে জুয়েলকে শুভেচ্ছাবার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

জাতীয় গেমসে (National Games) একটি বড় সাফল্য অর্জন করে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন তিরন্দাজ জুয়েল সরকার (Jewel Sarkar)। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ৭০ মিটার রিকার্ভ…

জাতীয় গেমসে (National Games) একটি বড় সাফল্য অর্জন করে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন তিরন্দাজ জুয়েল সরকার (Jewel Sarkar)। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ৭০ মিটার রিকার্ভ আর্চারির প্রতিযোগিতায় সোনাজয়ী হন তিনি। তার এই সাফল্যে গোটা রাজ্য গর্বিত। বিশেষ করে ঝাড়গ্রামের বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি এই পদকটি অর্জন করেন।

ঝাড়গ্রামের ছেলে জুয়েলের কীর্তি

   

ঝাড়গ্রামের ছেলে জুয়েল সরকারের এই সাফল্য ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলার জন্য একটি বড় অর্জন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি অসাধারণ দক্ষতা ও মনোযোগ দিয়ে ৭০ মিটার রিকার্ভ ইভেন্টে সোনা জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। জুয়েল তার এই সাফল্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন বাংলার ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক স্তরে কুড়িয়ে আনতে সক্ষম সাফল্য।

মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন

জুয়েলের সোনাজয়ের খবর আসার পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “জুয়েল সরকারকে আমি অভিনন্দন জানাই। তিনি ঝাড়গ্রামের বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির ছাত্র হিসেবে সোনা জিতেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশংসায় আরও একবার প্রমাণিত হল রাজ্য সরকার খেলাধুলার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ।

ক্রীড়ামন্ত্রীর শুভেচ্ছা

রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও জুয়েলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমিতে মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন জুয়েল। আজ তার এই সোনাজয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন অ্যাকাডেমি সঠিক পথেই চলছে। আমরা আশা করি, আগামী দিনে আরও সাফল্য পাবো।”

বাংলার তিরন্দাজদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত

বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির আরও এক তারকা দীপিকা কুমারীও একসময় সোনাজয়ী হয়েছেন। যদিও দীপিকা বাংলার মেয়ে হলেও তিনি ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু জুয়েল সরকার বর্তমানে এই অ্যাকাডেমির অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। তার সোনাজয়ের পর অনেকেই আশা করছেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের জন্য আরও সাফল্য আনতে সক্ষম হবেন জুয়েল।

পদক জয় ও ভবিষ্যত

জুয়েলের এই সোনা জয়ের পর বাংলার ক্রীড়ামহল জুড়ে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে। অনেকেই আশা করছেন জুয়েল ভবিষ্যতে বিশ্বমঞ্চে দেশের এবং বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবেন। তার এই সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলার ক্রীড়াবিদদের জন্য এক বড় প্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এটি নিশ্চিত যে বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্র আগামী দিনে আরও বড় সাফল্য পাবে এবং জুয়েল সরকারের মতো প্রতিভাবান তিরন্দাজরা বিশ্ব মঞ্চে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করবে।