আর জি কর দুর্নীতির চার্জ গঠন পিছিয়ে গেলো হাই কোর্টে । ৬ই ফেব্রুয়ারী চার্জ গঠনের শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছিল তবে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ, সুমন হাজরা, আশিষ পাণ্ডে রা ডিসচার্জ পিটিশন করে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন অভিযুক্তরা যে আবেদন করেছেন তার জন্য গ্রহণযোগ্য সময় দিতে হবে। তবে তিনি আরো বলেছেন যে সঠিক পদ্ধতি মেনে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য যেন বিচারে বিলম্ব না হয় তা দেখার দায়িত্ব উচ্চতর আদালতের।
আগামী শুক্রবার সকাল ১০.৩০ এ ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গেছে , আগামীকালের শুনানিতে চার্জ গঠন হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এক সময় ছিল রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। তবে, সম্প্রতি এই হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, যা রাজ্য প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সিবিআই তদন্ত শুরু করার পর সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়া ও বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়।
তিলোত্তমা কাণ্ডের পরে এই দুর্নীতি আরো স্পষ্ট হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় একাধিক বিধি লঙ্ঘন এবং অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও সেবা সুলভ মূল্যে না কিনে, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বেশ কিছু কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, হাসপাতালের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের টেন্ডারগুলিতে স্বজনপোষণ এবং রাজনৈতিক যোগসূত্রের মাধ্যমে কাজ বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে যে, কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল যারা অবৈধ ভাবে টেন্ডার পেত। আগামীকাল সেই মামলারই চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার দিকে নজর থাকবে সবার।
এই দুর্নীতি কাণ্ডটি শুধু আর্থিক ক্ষতির বিষয় নয়, বরং এটি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সরকারি হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেসব সরঞ্জাম ও পরিষেবা পাওয়া উচিত ছিল, তা দুর্নীতির কারণে সঠিক সময়ে পৌঁছায়নি। এই অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ রোগী ও চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণকারী জনগণের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।