দেহ উদ্ধারের 48 ঘণ্টার মধ্যেই দত্তপুকুর-কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। দত্তপুকুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের খুড়তুতো ভাই ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে, এবং প্রাথমিক উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়া সম্পর্ক ও চুরির মালের ভাগ বাটোয়ারার বিবাদের জেরেই এই খুন।
মঙ্গলবার দত্তপুকুর থানার ছোট জাগুলিয়া এলাকায় এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথম দিকে মৃতদেহের পরিচয় অজানা থাকলেও, হাতে থাকা উল্কির সূত্র ধরে পুলিশ এবং তাঁর পরিবার নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে, নিহত যুবক হজরত লস্কর (৩৫)। গাইঘাটা থানার আঙুলকাটা এলাকার হজরত একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত ছিল। যার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ছিনতাই এবং মাদক পাচারের মতো অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, হজরত তার খুড়তুতো ভাই ওবাইদুল গাজির স্ত্রী পূজা দাসের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। পাশাপাশি, একটি চুরির ঘটনার মালামালের বিতর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের অনুমান।
ওবাইদুলের স্ত্রী পূজা, যিনি নিষিদ্ধ পল্লিতে বাস করতেন, সেখানে হজরতের নিয়মিত যাতায়াত ছিল, এবং সেখান থেকেই পূজার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পুলিশ দাবি করছে যে, ওবাইদুলের সঙ্গে বিয়ের পরেও পূজার হজরতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, যা ওবাইদুলের মধ্যে এক ধরনের আক্রোশ এবং ক্ষোভ তৈরি করে। আর এই আক্রোশের ফলস্বরূপই হজরতকে খুন হতে হয়।
নিহত হজরত লস্করের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য DNA পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ধৃতরা—ওবাইদুল গাজি এবং পূজা দাসকে—বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা তাদের জেরা করে হত্যার আসল কারণ এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন।