INS অরিধামন পরমাণু সাবমেরিন কতটা বিপজ্জনক?

INS Aridhaman: ভারত মহাসাগরে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলছে। চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা মৈত্রীর কারণে, ভারতের জন্য তার সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত স্তরে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত…

Submarine, (representative image)

INS Aridhaman: ভারত মহাসাগরে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলছে। চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা মৈত্রীর কারণে, ভারতের জন্য তার সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত স্তরে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লি এই দিকে নিরন্তর কাজ করছে। এখন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে ভারতের পরমাণু চালিত সাবমেরিন 2025 সালের শেষ নাগাদ নৌবাহিনীতে (Indian Navy) অন্তর্ভুক্ত হবে। এটি সামুদ্রিক নিরাপত্তার দিক থেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিধামন এই বছর আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটি একটি পারমাণবিক চালিত ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন (SSBN), যা প্রায় তিন বছর ধরে নিবিড় সমুদ্র পরীক্ষা চলছে। এর গোপন অপারেশন সক্ষমতা, পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য এই পরীক্ষাগুলো পরিচালিত হয়েছে।

   

INS Aridhaman ভারতের অরিহন্ত-শ্রেণীর সাবমেরিনের অধীনে তৈরি করা হয়েছে। গত তিন বছরে এই সাবমেরিনের প্রপালশন সিস্টেম, স্টিলথ বৈশিষ্ট্য এবং গভীর সমুদ্রে অপারেশন সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। এই ট্রায়ালগুলির উদ্দেশ্য হল এটিকে বিভিন্ন ধরণের সমুদ্র পরিস্থিতিতে নীরবভাবে এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত করা।

আইএনএস অরিধামন

INS Aridhaman ভারতের তৃতীয় পারমাণবিক সাবমেরিন। এর আগে নৌবাহিনীর কাছে রয়েছে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত এবং আইএনএস আরিঘাট। যদিও আইএনএস অরিধামন আরও উন্নত। এর দৈর্ঘ্য 10 মিটার বেশি, যার কারণে এর স্থানচ্যুতি ওজন 1 হাজার টনের বেশি বেড়েছে। এটি আরও সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল (SLBM) বহন করতে সক্ষম হবে। নৌবাহিনীতে কমিশন করার পর এটি ভারতের সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

চিন অনেক এগিয়েছে

ভারত মহাসাগরে খুব দ্রুত অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলছে। চিন দ্রুত তার সামুদ্রিক সক্ষমতা জোরদার করছে। বর্তমানে, চিনের কাছে 6টি পারমাণবিক সাবমেরিন, 6টি অ্যাটাক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন এবং 48টি প্রচলিত সাবমেরিন AIP প্রযুক্তিতে সজ্জিত। ভারতের কাছে বর্তমানে AIP প্রযুক্তিতে সজ্জিত সাবমেরিন নেই। যদিও ভারত এই বিষয়ে জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করছে, তবে অনুমান করা হচ্ছে যে চুক্তির ক্ষেত্রে ভারত 2030 সালের মধ্যে তার প্রথম সাবমেরিন পেতে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে পাকিস্তানও তার নৌবাহিনীকে দ্রুত অগ্রসর করছে।