বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনা বাহিনীকে আটকে জনতার রোষ আরও বাড়ল। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বৈরাচারী বলে চিহ্নিত করে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে মরিয়া জনতা। অসহায় সেনা ও পুনিশ। ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডি এলাকার এই বাড়িটি গতবছর ৫ আগস্ট পোড়ানো হয়েছিল। ওইদিন রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা।
গতবছর গণবিক্ষোভের পর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনার একটি ভাষণ সম্প্রচার হবে এমন ঘোষণা করে পর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনার একটি ভাষণ সম্প্রচার হবে এমন ঘোষণা করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দলের শাখা সংগঠন ছাত্রলীগ। সংগঠনটি এখন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। তাদের তরফে শেখ হাসিনার ভাষণ সম্প্রচারের বার্তার পরেই বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের তরফে পাল্টা ঘোষণা করা হয় ‘থাকবে না ফ্যাসিবাদের আঁতুরঘর’।
গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ ‘স্বৈরাচারী’ বলে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস আগেই ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনাকে মুখ বন্ধ রাখার বার্তা দিয়েছিলেন।
অভিযোগ, দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে উস্কানিমূলক বার্তা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের তরফে আন্তর্জাতিক পুলিশ ইন্টারপোলের কাছে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে ভারতে আশ্রিত হাসিনা। ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করতে রাজি নয় জানিয়েছে বিবিসি।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে শেখ হাসিনার ভাষণ সম্প্রচারের বার্তা ঘিরে ক্ষোভ ছড়াতে থাকে। শুরু হয় ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে পুনরায় হামলা। গতবছর ৫ আগস্ট জনতার ভয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালাতেই তার পিতা ও বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি (যেটি একটি সংগ্রহশালা) পুড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। সেই ঘটনার ছয় মাসের মধ্যে সেই পোড়োবাড়িতে হামলা হল।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান কেটে বাংলাদেশের জন্মের রাজনৈতিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির এই বাড়ি। এই বাড়িতেই ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকারী সেনা অফিসাররাগুলি করে সপরিবারে খুন করেন বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে।