নয়াদিল্লি: দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে৷ তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজধানি। আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার ব্যবহার করে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপি’র বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করতে টাকা বিলোনোর অভিযোগ এনেছে আপ। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলামপুর-সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র।
চিরাগ দিল্লির একটি ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ব্যারিকেডিং নিয়ে স্থানীয় পুলিশ এবং দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভাটিওয়াজের মধ্যে বচসা বাধে৷ পুলিশ এবং মন্ত্রীর মধ্যে এই সংঘর্ষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য অস্থির পরিবেশ তৈরি করে।
এ নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তিনটি দল—শাসক দল আম আদমি পার্টি (AAP), বিজেপি এবং কংগ্রেস। আম আদমি পার্টি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরার জন্য লড়াই করছে, বিজেপি বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে এবং কংগ্রেস দিল্লিতে রাজনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচন মঞ্চে নেমেছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর রাখা হয়েছে এবং নির্বাচনের আগের সপ্তাহগুলিতে শাসনব্যবস্থা, দুর্নীতি, ভোটার তালিকা কারচুপি, আইন-শৃঙ্খলা, এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রশ্নে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে বিজেপি। তাঁদের দাবি, বাইরে থেকে মহিলাদের এনে বোরখা পরিয়ে ভুয়ো ভোট দেওয়াচ্ছে কেজরির দল৷ বিজেপির দাবি, কয়েকজন মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা ভোট দিতে গেলে তাঁদের বলা হয়, ভোট হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগে ভোট কেন্দ্রের সামনেই হাতাহাতিতে জড়ায় দুই দলের নেতা-কর্মীরা৷ শুরু হয় গালিগালাজ৷ আপ-বিজেপির পাশাপাশি সংঘর্ষে জড়ায় হাত শিবিরও। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়৷ অশান্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে সেখান থেকে সব দলের কর্মীদের সরিয়ে দেয়৷