মদে আসক্ত মায়ের গলা কেটে পুলিশ কে ফোন ব্যাঙ্ক কর্মী ছেলের: শোরগোল শিলিগুড়ি তে

শিলিগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে ছেলে তার মাকে হত্যা করে নিজেই পুলিশকে খবর দিয়েছে। অভিযুক্তের নাম অজয় মল্লিক, এবং…

শিলিগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে ছেলে তার মাকে হত্যা করে নিজেই পুলিশকে খবর দিয়েছে। অভিযুক্তের নাম অজয় মল্লিক, এবং নিহত মায়ের নাম কৌশল্যা মল্লিক। অজয় তার মায়ের গলা কেটে হত্যা করেন বলে অভিযোগ এবং এরপর নিজেই প্রধাননগর থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অজয় মল্লিক একটি ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং তিনি তার মা ও ভাইয়ের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার কাজ থেকে ফিরে আসার পর, অজয়ের সাথে তার মায়ের কোনো বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়, যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করে। তর্কের এক পর্যায়ে, অজয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মায়ের গলা কেটে দেন। হত্যার পর, তিনি নিজেই প্রধাননগর থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান।

   

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজয়কে গ্রেপ্তার করে এবং কৌশল্যা মল্লিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক অশান্তি মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কৌশল্যা মল্লিককে প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যেত। অভিযুক্ত নিজেও মায়ের মদে আসক্তি নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। তবে, প্রতিবেশীরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কেউ কিছু জানতেন না, যতক্ষণ না পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন , পারিবারিক কলহ ও মানসিক চাপের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তারা পরামর্শ দেন যে, পরিবারগুলোর মধ্যে সুস্থ যোগাযোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অজয় মল্লিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এবং আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করা হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি অজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তিনি কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।