কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি? হাজিরা এড়ালে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

বলিউডের চর্চিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবং গীতিকার জাভেদ আখতারের মধ্যে আইনি বিরোধ আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা আদালত (Mumbai court) ৫ ফেব্রুয়ারি,…

bollywood-actress-kangana-ranaut-joint-family-marriage-instagram-story

short-samachar

বলিউডের চর্চিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবং গীতিকার জাভেদ আখতারের মধ্যে আইনি বিরোধ আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা আদালত (Mumbai court) ৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার কঙ্গনা রানাউতকে একবারের জন্যও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে। যদি আগামীতে তিনি আদালতে হাজির না হন, তবে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা (এনবিডব্লিউ) জারি করা হতে পারে।

   

কঙ্গনা রানাউত এবং জাভেদ আখতারের (Kangana vs Javed) আইনি লড়াইটি বেশ পুরানো । সূত্রপাত ২০১৬ সালে হৃতিক রোশন এবং কঙ্গনা রানাউতের মধ্যে একটি ইমেল বিতর্ক হয়েছিল। এটি বলিউডের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। জাভেদ আখতার, হৃতিক রোশনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই পরিস্থিতি সমাধান করার জন্য কঙ্গনাকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। তবে এই বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে পরিণত হয়।

গত কয়েক বছরে কঙ্গনা রানাউত এবং জাভেদ আখতার (Kangana vs Javed) একাধিকবার আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন। কিন্তু কঙ্গনা কোনোদিন আদালতে উপস্থিত হননি। এই কারণে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে আদালত কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করার প্রস্তাব দেন। ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, কঙ্গনা প্রায় ৪০টি তারিখে আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটি আদালতের সময় অপচয় করছে।

মুম্বাই আদালত (Mumbai court) কঙ্গনা রানাউতকে সতর্ক করেছে এবং তাকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। যদি তিনি এবারও আদালতে উপস্থিত না হন, তবে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। কঙ্গনার উপস্থিতি জরুরি ছিল কারণ এটি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা একটি আইনি লড়াই।

উল্লেখ্য,কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) বর্তমানে তার সাম্প্রতিক ছবি ‘ইমারজেন্সি’ নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন। ছবিতে তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কঙ্গনা নিজেই এবং এটি বক্স অফিসে ভালো সাড়া পাচ্ছে। স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী সিনেমাটি বর্তমানে ১৮ কোটি টাকা আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। তবে ছবিটি নিয়ে বিতর্কও চলছে এবং কিছু জায়গায় এটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।