নয়াদিল্লি: দিল্লিতে শুরু হয়েছে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব৷ ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে রাজধানীতে৷ এ বার দিল্লিতে লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। প্রতিটি আসনেই মুখোমুখি লড়ছে শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ), বিজেপি এবং কংগ্রেস। এক দফাতেই আজ দিল্লির ৭০ বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ। এদিন সকাল সকাল ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ সকাল সকাল ভোট দেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। নিজে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লিবাসীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বানও জানান তিনি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এস জয়শঙ্করও৷
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ ১.৫৬ কোটি যোগ্য ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবারের নির্বাচনে ৭০টি আসনের জন্য ৬৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণের পরবর্তী দিন ৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট গণনা।
নির্বাচনে তীব্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ২২১ কোম্পানি প্যারামিলিটারি বাহিনী, ৩৫,৬২৬ জন দিল্লি পুলিশ এবং ১৯,০০০ হোম গার্ড মোতায়েন করেছে। নির্বাচনী এলাকাগুলোর মধ্যে প্রায় ৩,০০০টি বুথ ‘সংবেদনশীল’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ড্রোনের নজরদারিও৷
দিল্লির দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। নয়াদিল্লি কেন্দ্রে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়ছেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিংহ বর্মার পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রবেশ। ওই আসনেই কংগ্রেসের প্রার্থী আর এক প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ। অন্য দিকে, কালকাজি কেন্দ্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়ছেন প্রাক্তন সাংসদ রমেশ বিধুরি। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন আপ বিধায়ক তথা বর্তমানে মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী অলকা লাম্বা।