জাতীয় গেমসে সৌবৃতি মণ্ডল (Soubrity Mondal) বাংলার হয়ে জাতীয় গেমসে সাঁতারে দুটিতে সোনা ও একটিতে রূপো জিতেছেন। তিনি ২০১৭ সাল থেকে দিল্লিতে সাঁতারের অনুশীলন করছে। নামটা দিয়েছে বাংলার হয়ে। গতকাল জেতার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন বাংলায় সাঁতারের কোন পরিকাঠামো নেই । সেই সঙ্গে এই রাজ্য সংস্থার সচিবের বক্তব্য জাতীয় গেমসে বাংলার হয়ে উত্তরাখন্ডে যারা গিয়েছে তাদের সবার নামও তিনি জানেন না। অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন রাজ্য সংস্থার সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
রাজ্য সরকারের সচিব ও সভাপতি পদ নিয়ে রামানুজ মুখোপাধ্যায় ৪০ বছর রয়েছেন। একসময় তার বড় মুরুব্বী ছিলেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। পরে তাঁর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তী। যিনি দশ বছর সভাপতি ছিলেন। ক্রীড়াবিদরা বলছেন, বামফ্রন্টের শুদ্ধিকরণ খেলার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলে রাজ্যের খেলার মানের উন্নতি ঘটতো ।
২০০১ সাল থেকে বলতে গেলে বাংলার ছেলে মেয়েরা সিনিয়ার জাতীয় প্রতিযোগিতায় কোন দক্ষতাই দেখাতে পারেনি। ১৯৮৫ সালে অসীম বন্দোপাধ্যায়কে সরিয়ে রামানুজ সচিব হয়েছিলেন। এখন ২০২৫ ।
এখনো তিনি শুধু রাজ্য সাঁতার সংস্কার সভাপতি নন, কিছুদিন আগে নির্বাচনে রাজ্য ক্রীড়াপর্ষদের সহ-সভাপতি হয়েছেন। আগে আশীর্বাদ ছিল বামফ্রন্টের মন্ত্রীর ।এখন আশীর্বাদ তৃণমূলের মন্ত্রীর। আর ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সময় কোথায় ? সারাক্ষণই তাকে মুখ্যমন্ত্রীর ছায়া সঙ্গী হিসেবে ঘুরতে দেখা যায়। ও হ্যাঁ এই রাজ্যে দুজন ক্রীড়া মন্ত্রী । দ্বিতীয় ব্যক্তি আবার সারা দিন ক্রিকেট খেলেই চলেছেন। নাম মনোজ তিওয়ারি আগেও ছিল দুজন। তিনিও ক্রিকেট খেলে বেড়াতেন। নাম ছিল লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সাড়ে চার বছর কাজ করার পর গত নির্বাচনের আগে তিনি পদত্যাগ করেন। কাজের কাজ কিছু হয়নি।