অস্কার ব্রুজনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সুদিন ফিরতে শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। পুরনো সমস্ত হতাশা ভুলে জয়ের মুখ দেখতে শুরু করেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান দল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ভালো পারফরম্যান্স করার পর আইএসএলে ও এসেছিল জয়। কিন্তু সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথেই চোট আঘাতের সমস্যা ব্যাপকভাবে চাপে ফেলে দেয় মশাল ব্রিগেডকে। ধীরে ধীরে মাঠের বাইরে চলে যেতে শুরু করেন সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে মাদিহ তালাল ও হেক্টর ইউস্তের মতো ফুটবলাররা। যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সে।
পরাজিত হতে হয়েছিল একের পর এক ফুটবল ম্যাচ। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোই অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। তবে সময়ের সাথে সাথেই বদলে যেতে শুরু করে গোটা পরিস্থিতি। টুর্নামেন্টের প্রথম লেগে শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় তারকাদের উপরেই বাড়তি ভরসা রাখতে হয়েছিল লাল-হলুদের হেডস্যারকে। তবে সময়ের সাথে সাথেই সুস্থ হয়ে উঠছেন এই ফুটবলার।
গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শহরে এসে গেলেও খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না এই ফুটবলার। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে পাওয়া যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই বুঝতে পেরেছিলেন দলের স্প্যানিশ কোচ। সেইমতো সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে সাউলের খেলা নিয়ে ও অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন অস্কার ব্রুজন। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই দলের জার্সিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলেন এই বিদেশি ফুটবলার। অবশেষে চেন্নাইয়িন ম্যাচের আগেই বল পায়ে দলের অনুশীলনে ফিরলেন ক্রেসপো।
তাঁর ফিরে আসা যথেষ্ট খুশি করবে সমর্থকদের। সাউল একানন। এদিন থেকেই দলের অনুশীলনে ফিরেছেন দলের আরেক ফুটবলার মহম্মদ রাওকিপ। সেক্ষেত্রে রক্ষণভাগ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের থেকে আরও অনেকটাই ভরসা পাবেন অস্কার।