কলকাতা বইমেলায় চুরি! এসএফআই-এর স্টল থেকে উধাও ত্রিপল

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় (Kolkata Book Fair) এবার ত্রিপল চুরির ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বইমেলা (Kolkata Book Fair) চত্বরের মধ্যে। অভিযোগ, এসএফআই-এর (স্টুডেন্টস…

Tripol Stolen from SFI's Stall at the International Kolkata Book Fair

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় (Kolkata Book Fair) এবার ত্রিপল চুরির ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বইমেলা (Kolkata Book Fair) চত্বরের মধ্যে। অভিযোগ, এসএফআই-এর (স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া) ছাত্রসংগ্রামের স্টল থেকে ত্রিপল চুরি হয়েছে। স্টলটি গুছিয়ে সোমবার রাতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার এসে দেখা গেল, স্টলের উপরে থাকা ত্রিপল উধাও।

বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, প্রায় ৪০ হাজার টাকার উপরে খরচ করে স্টল তৈরি করা হয়েছিল। গিল্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও স্টল করার জন্য বেশ কিছু টাকা নেওয়া হয়েছিল। যদিও এত টাকা খরচের পরও স্টলের নিরাপত্তা ছিল না, এমন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। শুধু নিরাপত্তার অভাবই নয়, বইমেলায় পুলিশের বিশাল বাহিনী থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটার প্রশ্ন উঠেছে।

   

এসএফআই রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি শুভজিৎ সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রতিবছর বইমেলায় স্টল দিই, অনেক টাকা খরচ হয়। এই নিরাপত্তার মধ্যে চুরি কীভাবে সম্ভব? কাল তো ত্রিপল লাগিয়ে আজ এসে দেখি নেই। এরপর তো বইও চলে যাবে। এরপর আরও কিছু দামি জিনিস চুরি যেতে পারে। গিল্ড কর্তৃপক্ষ তো নিরাপত্তা ঠিকমতো নিশ্চিত করে, এবার কী হল, জানি না। এত নিরাপত্তা থাকার পরও কেন এই ঘটনা ঘটল?”

এমনকি, এবারের বইমেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের বিশাল ভিড় ছিল। সরস্বতী পুজোর ছুটির দিনগুলিতে বইপ্রেমী মানুষের আগমন ছিল বিপুল। কিন্তু এর মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন পক্ষ। মেলা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা নিয়ে মানুষে মানুষে কথা চলতে শুরু করেছে।

এই ঘটনা থেকে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, বইমেলা বা এমন কোনো বড়ো আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কি যথাযথ থাকে? এরকম ঘটনা নিয়মিত ঘটলে মেলা কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে, যখন এই ধরনের চুরি বা অবহেলা, যেখানে সিকিউরিটির বিশাল বাহিনী উপস্থিত ছিল, তা প্রকাশ্যে আসে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

বইমেলার মতো সাংস্কৃতিক উৎসবে এই ধরনের অশান্তি বা অব্যবস্থাপনা সাধারণ মানুষকে হতাশ করতে পারে। আর তাই এই ঘটনার নেপথ্যে সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার বলে দাবি উঠেছে।