F21 vs Rafale M: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) তাদের শক্তি বাড়াতে নতুন যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারত চিন এবং পাকিস্তানের মতো দুটি শক্তিশালী সামরিক শক্তির চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি কিন্তু আইএএফের মাত্র 42টি স্কোয়াড্রন রয়েছে, যা খুব কম। ভারতীয় বায়ুসেনাকে পুরনো মিগ-২১ এবং জাগুয়ার বিমানও প্রতিস্থাপন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রয়োজন 114 মাল্টি-রোল মিডিয়াম-রেঞ্জ কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এমএমআরসিএ)। এর জন্য আমেরিকান কোম্পানি লকহিড মার্টিনের এফ-২১ এবং ফ্রেঞ্চ ড্যাসল্টের রাফাল জেট আইএএফের অংশ হওয়ার দৌড়ে রয়েছে। উভয়ই আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন জেট তার বায়ুসেনার চাহিদা অনুযায়ী ভাল হবে।
জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, IAF-এর কাছে ফাইটার প্লেনের ঘাটতি একটা বড় সমস্যা। MiG-21 শীঘ্রই অবসর হতে চলেছে। জাগুয়ার প্লেনও প্রতিস্থাপন করা হবে। এ কারণে ভারত শীঘ্রই নতুন বিমান কেনার দিকে তাকিয়ে আছে। পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আইএএফকে শক্তিশালী করতে এবং প্রস্তুত রাখতে আধুনিক বিমানের প্রয়োজন। আমেরিকা এবং ফ্রান্স উভয়ের কোম্পানিই ভারতের কাছে তাদের বিমান বিক্রি করতে চায়।
F21 vs Rafale M: F-21 কি ভারতের জন্য একটি ভাল বিকল্প?
লকহিড মার্টিন বলেছে যে F-21 ভারতের জন্য সেরা বিকল্প। সংস্থাটি বলে যে এটি লাভজনক এবং টেকসই। F-21 এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। লকহিড মার্টিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে F-21 শুধুমাত্র ভারতেই তৈরি হবে। ভারত এটি ব্যবহারের পাশাপাশি রফতানি করতে সক্ষম হবে। এটি ভারতের মহাকাশ শিল্পকে উৎসাহিত করবে। F-21-এ আধুনিক এভিওনিক্স, স্ব-সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং একটি বড় ডিসপ্লে সহ একটি ককপিট রয়েছে। ভবিষ্যতে আপগ্রেড করার সুযোগও রয়েছে।
অন্যদিকে, আইএএফ-এ যোগ দেওয়ার পরে রাফাল তার সামর্থ্য প্রমাণ করেছে। এটি একটি টুইন-ইঞ্জিন মাল্টিরোল ফাইটার, যা তার চমৎকার পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। বহু যুদ্ধে রাফাল তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। ফরাসি বায়ুসেনা এটি ব্যবহার করছে। এই জেটের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা এতে আস্থা বাড়ায়। রাফাল শক্তিশালী রাডার সিস্টেম, আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ক্ষমতা এবং অনেক ধরনের অস্ত্র বসানো যাবে। এর ডিজাইন এবং থ্রাস্ট-টু-ওয়েট এটিকে দারুণ গতি দেয়।
F21 vs Rafale M: উভয় প্লেনের তুলনা
উভয় বিমানের তুলনা করলে, F-21 এর দৈর্ঘ্য 49.3 ফুট (15.09 মিটার) এবং Rafale M এর 52.8 ফুট (16.1 মিটার)। ডানার বিস্তার সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি F-21 এ 31 ফুট (9.45 মিটার) এবং রাফাল এম: 35.8 ফুট (10.9 মিটার)। F-21 এর উচ্চতা 16.7 ফুট (5.09 মিটার) এবং রাফালে এম এর উচ্চতা 17.8 ফুট (5.34 মিটার)।
F-21-এর সর্বোচ্চ টেক-অফ ওজন 48,000 পাউন্ড (21,772 কেজি) এবং রাফাল এম-এর 57,000 পাউন্ড (25,855 কেজি)। উভয় বিমানের গতির বিষয়ে কথা বললে, F-21-এর সর্বোচ্চ গতি 1,500 মাইল প্রতি ঘন্টা (2,414 কিমি প্রতি ঘন্টা) এবং Rafale M এর গতি 1,380 মাইল প্রতি ঘন্টা (2,225 কিমি প্রতি ঘন্টা)।
F21 vs Rafale M: দাম এখনও সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়
F-16 এর সঙ্গে মিল থাকার কারণে F-21 এর বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক থেকে উপকৃত হবে। এটি লজিস্টিক এবং প্রশিক্ষণ সহজ করবে। অন্যদিকে, রাফালন ইতিমধ্যেই আইএএফ-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাই বিদ্যমান বহরের সাথে এর সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা হয়েছে। F-21 এর মডুলার ডিজাইন ভবিষ্যতের আপগ্রেডগুলিকে আরও সহজ করে তুলবে, তবে F-16 এর উত্তরাধিকার প্রযুক্তিরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একই সময়ে, রাফাল সময়ের সাথে নতুন অস্ত্র এবং সেন্সর গ্রহণ করে তার অভিযোজনযোগ্যতা প্রমাণ করেছে।