শনিবার, সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার সময় স্পিকার ওম বিড়লা অর্থমন্ত্রী সীতারামনকে বাজেট উপস্থাপনের জন্য ডাকেন। তখন বিরোধী সাংসদরা মহাকুম্ভে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘিরে প্রতিবাদী কণ্ঠে দাঁড়িয়ে যান এবং অন্তত ৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনাটি নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দাবি জানান। অতঃপর বিড়লা প্রতিবাদী সাংসদদের জানান যে, তাঁরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের সময় এই বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের নাম উল্লেখ করে তাঁকে পরে এই বিষয়টি তুলতে বলেন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট ভাষণ পর্ব শুরু করলে, বিরোধী সাংসদরা তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যান এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তবে কিছুক্ষণ পরে পুনরায় সংসদে ফিরে আসেন তাঁরা।
এই নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ মানিকাম ঠাকুর বলেন “আমরা মহা কুম্ভ ট্র্যাজেডি নিয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ আলোচনার দাবি জানিয়ে ওয়াকআউট করেছি।”
মন্ত্রী যখন বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনা করছিলেন, তখন এক সাংসদকে পদদলিত হয়ে নিহতদের তালিকা প্রদানের দাবি জানাতে শোনা যায় সরকারকে বিরুদ্ধে। একইভাবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের শান্তি বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।
শুক্রবার, যখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশনে বাজেট ঘোষণা সূচি হিসাবে ইংরেজি সংস্করণটি পাঠ করছিলেন, তখন বিরোধী সাংসদরা “লজ্জা, লজ্জা” বলে স্লোগান দেন। এর পর, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সংসদীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদস্যদের সতর্ক করেন এবং সবার উদ্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন,”সরকার মৃতদের সংখ্যা গোপন করছে কারণ তারা ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না। তিনি আরো উল্লেখ্য করেন “মৃতদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত জানানো উচিত এবং যারা তাদের প্রাণ হারিয়েছে, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা উচিত।