২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানিয়েছেন, ক্যানসারসহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ১০০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে। এই ঘোষণা অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জীবনদায়ী ওষুধের দাম অনেক সময় অত্যন্ত উচ্চ হয়ে থাকে, যা অনেক সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য হয় না। তবে, নির্মলার এই পদক্ষেপের ফলে এসব ওষুধের দাম কমবে এবং তা অনেক মানুষের জন্য আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে।
এছাড়া, বাজেটে আরও একটি বড় ঘোষণা করা হয়েছে, তা হলো ৬টি জীবনদায়ী ওষুধের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে। এর ফলে এই বিশেষ ওষুধগুলির দামও কমবে, যা রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি হবে। বিশেষত, ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এসব ওষুধের দাম কমলে রোগী ও তাদের পরিবারগুলির আর্থিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য এটি বিশেষ একটি সহায়ক পদক্ষেপ। ক্যানসার চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত বেশি, এবং অনেক পরিবারই এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে হিমশিম খায়। নির্মলা সীতারমণের এই পদক্ষেপ ক্যানসার রোগীদের জন্য একটি বড় রিলিফ হিসেবে কাজ করবে। ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর ছাড় ঘোষণার ফলে এসব ওষুধের দাম কমবে এবং এর ফলে চিকিৎসার ব্যয়ও অনেকটা কমে আসবে।
এই সিদ্ধান্তটি একদিকে যেমন রোগীদের জন্য সুখবর, তেমনি সাধারণ মানুষের জন্যও এক বড় উপকারিতা হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যারা স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসা খরচ নিয়ে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় আশার আলো। চিকিৎসার খরচ কমলে অনেকেই নির্দ্বিধায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন, যা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।
এছাড়া, ওষুধের দাম কমানোর ফলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতেও এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। সাধারণ মানুষ সহজে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে এবং সেই সঙ্গে সরকারের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের চাপও কিছুটা কমবে। নির্মলার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সচেতনতা ও আগ্রহ বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, “এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষকে সস্তা ও উচ্চমানের চিকিৎসা সুবিধা দিতে সক্ষম হবো। এতে দেশব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের উন্নতি হবে।”
এছাড়া, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণও বাড়বে, যা বিভিন্ন হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সংস্থাগুলির উন্নয়ন ও প্রসার ঘটাতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে চিকিৎসার মানেরও উন্নতি ঘটবে এবং আরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে উপকৃত হবে।