মহারাষ্ট্রে GBS আতঙ্কে দ্বিতীয় মৃত্যুর শঙ্কা, আক্রান্ত শতাধিক!

কিরকাটওয়াডি, সিঁহাগড় রোডের ৫৬ বছর বয়সী এক মহিলা মুখের ক্যান্সার নিয়ে সাসুন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। বুধবার তাকে গিলেইন-ব্যারে সিনড্রোম (GBS) আক্রমণে মারা যাওয়ার সন্দেহ…

GBS আক্রান্তে মৃত দুই

কিরকাটওয়াডি, সিঁহাগড় রোডের ৫৬ বছর বয়সী এক মহিলা মুখের ক্যান্সার নিয়ে সাসুন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। বুধবার তাকে গিলেইন-ব্যারে সিনড্রোম (GBS) আক্রমণে মারা যাওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এই বিরল স্নায়ুজনিত রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মোট সংখ্যাটি এখন ১২৭।

রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই মহিলা ১৫ জানুয়ারি পুনের সিঁহাগড় এলাকার একটি স্থানীয় হাসপাতালে শাসকষ্টের অভিযোগ নিয়ে ভর্তি হন, যা এখন মহামারির কেন্দ্রবিন্দু বলে পরিচিত। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ১৭ জানুয়ারি সাসুন জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।

   

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এটি GBS মহামারিতে দ্বিতীয় সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনা। পুনে মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মেডিকেল হেলথ অফিসার, ডা. নীনা বোড়ডে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান- হাসপাতাল পর্যালোচনা কমিটি মহিলাটির মৃত্যুর প্রধান কারণ নিশ্চিত করবে।

২৫ জানুয়ারি, রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ৪০ বছর বয়সী এক পুরুষের প্রথম GBS-এ আক্রান্তে মৃত্যুর খবর দেয়, যিনি সোলাপুরের বাসিন্দা ছিলেন কিন্তু পুনের ধায়রি এলাকায় বাস করছিলেন।

১২৭টি সন্দেহজনক GBS কেসের মধ্যে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ৭২ জনের ডায়াগনোসিস নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে, ২৩ জন পুনে মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এলাকা থেকে, এবং ৭৩ জন পুনে মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সীমানায় অন্তর্ভুক্ত গ্রামগুলির থেকে, ও ১৩ জন পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন থেকে, ৯ জন পুনে রুরাল এলাকা থেকে এবং ৯ জন অন্যান্য জেলার।

GBS এর সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে হাত বা পায়ে হঠাৎ দুর্বলতা এবং দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২১টি স্যাম্পল ICMR-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে এন্টারোভাইরাস প্যানেলের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ২১টি স্যাম্পল নরোভাইরাসের জন্য পজিটিভ এবং ৫টি ক্যাম্পাইলোব্যাক্টার ভাইরাসের জন্য পজিটিভ এসেছে। সেরেব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) এর মোট ২৫টি স্যাম্পল শীর্ষ প্রতিষ্ঠানকে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে একটি স্যাম্পল এপস্টেইন-বার ভাইরাসের জন্য পজিটিভ নিশ্চিত করেছে।

রাসায়নিক এবং জীববৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের জন্য, শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ১৪৪টি জলের স্যাম্পল সংগ্রহ করে রাজ্য পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে আটটি উৎস থেকে পাওয়া স্যাম্পলগুলি দূষিত বলে প্রমান করেছে। অপরদিকে ,এলাকার নাগরিকদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার এবং ভালো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তারা door-to-door অভিযানে জোর দিয়েছেন এবং ৫০,০০০ এরও বেশি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।