দ্বৈরথে সুকান্ত-শুভেন্দু, পদ্মশিবিরে শৃঙ্খলাভঙ্গের আশঙ্কা

বিজেপির (BJP) দুই শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে মতানৈক্যর জল গড়াল দিল্লি পর্যন্ত। বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সহ–সভাপতি সামসুর রহমান…

BJP: Sukanta-Shuvendu Conflict, Concerns Over Discipline in the Party

বিজেপির (BJP) দুই শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে মতানৈক্যর জল গড়াল দিল্লি পর্যন্ত। বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সহ–সভাপতি সামসুর রহমান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে একটি ইমেল পাঠান। ইমেলে দলের দুই শীর্ষ নেতার প্রকাশ্য বিবাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তিনি। তার প্রশ্ন, দলের দুই শীর্ষ নেতা যে ভাবে নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে বাগযুদ্ধ চালাচ্ছেন, তাতে পার্টির শৃঙ্খলাভঙ্গ হচ্ছে কিনা?

সম্প্রতি একটি সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি নিয়ে ‘কমফর্ট’ প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে চলা সাংগঠনিক বৈঠকগুলিতে ‘কমফর্ট’ বোধ করেন না শুভেন্দু। এর পরেই শুভেন্দু প্রকাশ্যে পালটা জবাব দেন। এই দ্বৈরথ নিয়ে দলের অন্দরেও আলোচনা চলছে। একাংশের মতে, এই ধরনের প্রকাশ্য মতানৈক্য দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে।

   

সামসুর রহমান তার ইমেলে লেখেন, ‘রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা যে ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাতে দলের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল নষ্ট হচ্ছে। বিজেপির মরা গাঙে জোয়ার আসার পরিবর্তে আরও ভাটা পড়ছে। তাই এখনই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। না হলে আগামী বিধানসভা ভোটে অত্যন্ত লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে বাংলায়।’

রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব, সামসুরের ইমেলকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। তাদের দাবি, সামসুর বর্তমানে বিজেপিতে সক্রিয় নন। মাঝেমধ্যে তিনি কেন্দ্রের কাছে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির কেউ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের একে অপরের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এবং পাল্টা-অভিযোগ দলের ভাবমূর্তি এবং জনগণের চোখে নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরছে। এর ফলে দলের ভিতরে ও বাইরের সমর্থকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে যদি এই মতানৈক্য সমাধান না হয়, তাহলে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা আরও বেড়ে যেতে পারে।

রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি এখন দিল্লির দিকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।