বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, তবে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) এবং রাজ্য পুলিশের সক্রিয়তার কারণে এই ধরনের চেষ্টাগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মালদহের সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা একের পর এক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করলেও বিএসএফের তৎপরতা তাদের ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ঘটনা ঘটেছে মালদহের হবিবপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, যেখানে এক মহিলা বিএসএফ জওয়ান সাহসিকতার সঙ্গে একা হাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে শীত ও কুয়াশার মধ্যে, যখন সীমান্তের অনুরাধাপুর এলাকায় কাঁটাতার কেটে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে একটি সশস্ত্র বাংলাদেশি দুষ্কৃতী দল। এই অবস্থায়, কর্তব্যরত ছিলেন মহিলা বিএসএফ জওয়ান। যখন তিনি এই অপরাধী দলটিকে দেখতে পান, তখন তাদের অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য তিনি তৎক্ষণাৎ বাধা দেন এবং হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা তাকে উপেক্ষা করে পাল্টা আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাতে থাকে। পরিস্থিতি ঘোরালেই, মহিলা বিএসএফ জওয়ান বাধ্য হয়ে গুলি চালান। এতে দুষ্কৃতীরা ভীত হয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। তার সাহসিকতার জন্য ওই মহিলা বিএসএফ জওয়ান প্রশংসিত হয়েছেন।
এছাড়া, মালদহের শুকদেবপুর এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেখানে ভারতীয় জমি দখল করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশিরা। সীমান্তবর্তী এলাকায় বড় বড় গর্ত খোঁড়া এবং জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব কর্মকাণ্ড দেখে তৎক্ষণাৎ তাদের ধাওয়া করেন। পরিস্থিতি যখন আরো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন সীমান্তরক্ষীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই ধরনের ঘটনা কেবল ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে না, বরং এতে বিএসএফের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আরও দৃঢ় ও কার্যকরী হওয়ার প্রমাণ দেয়। বিশেষত, যখন মহিলারা সাহসী ভূমিকা পালন করছেন, তখন তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে। বিএসএফের সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত রক্ষার কাজ করেন এবং এ ধরনের ঘটনা তাদের সাহসিকতারই এক উদাহরণ।
এভাবে, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রতিরোধ করতে বিএসএফের সদিচ্ছা এবং দৃঢ় পদক্ষেপ ভারতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএসএফ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।