তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট (Telangana High Court) সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের রাত ১১ টার পরে থিয়েটার এবং মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখা নিষিদ্ধ করেছে। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আদালতের মতে গভীর রাত পর্যন্ত সিনেমা দেখার কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
হাইকোর্ট (Telangana High Court) তার রায়ে উল্লেখ করেছে গভীর রাত পর্যন্ত সিনেমা দেখার কারণে শিশুদের ঘুমের গুণমান নষ্ট হচ্ছে। এর করাণে শিশুদের শারীরিক বিকাশ ও মানসিক সুস্থতার উপর দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে গভীর রাতে জেগে থাকা শিশুদের ঘুমের স্বাভাবিক রুটিনকে ব্যাহত করে। ফলে তারা দিনের বেলায় ক্লান্ত থাকে এবং পড়াশোনা ও অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়।
আদালত আরও বলেছে যে শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে।
The #Telangana High Court has issued significant orders prohibiting children under the age of 16 years from watching films in #theaters or #multiplexes across the state after 11 pm.
Following consultation with all parties involved, including child psychologists,… pic.twitter.com/nPHVSRhCAd
— NewsMeter (@NewsMeter_In) January 27, 2025
হাইকোর্টের (Telangana High Court) এই রায় রাজ্য সরকারও মেনে নিয়েছে। থিয়েটার ও মাল্টিপ্লেক্স অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে যে তারা যেন এই রায় কঠোরভাবে পালন করে। শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার কথাও বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই রায়কে অত্যন্ত সময়ের পক্ষে উচিত ও উপযুক্ত বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, বর্তমান যুগে শিশুদের মধ্যে রাতজাগার প্রবণতা বেড়ে গেছে। ঘুমের অভাব তাদের শরীর ও মনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
‘আমাকে ক্ষমা করে দাও…,’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কেঁদে ফেললেন সেলিনা গোমেজ, পেলেন হুমকি!
বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর রাতে সিনেমা দেখা শুধুমাত্র ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে না, বরং এটি শিশুদের মধ্যে অলসতা এবং পর্দার প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
“দেশ নারীদের জন্য বাসযোগ্য নয়” পরীমণির সমর্থনে তসলিমা নাসরিনের কড়া বার্তা
যদিও এই সিদ্ধান্তকে অনেকে শিশুবান্ধব পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ কেউ এটিকে শিশুদের বিনোদনের উপর অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা হিসেবেও দেখছেন। তবে আদালতের মতে শিশুর স্বার্থই প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।