Bajaj Pulsar N160 সিঙ্গেল-সিট ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ হল, বেস মডেলের চেয়ে অনেক সস্তা

সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে লঞ্চ হল Bajaj Pulsar N160-এর নতুন সিঙ্গেল সিট ভ্যারিয়েন্ট। মোটরসাইকেলটির দাম রাখা হয়েছে ১,২১,৭২২ টাকা (এক্স-শোরুম)। যা কিনা স্ট্যান্ডার্ড মডেলটির তুলনায় অনেকটাই…

Bajaj Pulsar N160 Single-Seat Variant Launched

সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে লঞ্চ হল Bajaj Pulsar N160-এর নতুন সিঙ্গেল সিট ভ্যারিয়েন্ট। মোটরসাইকেলটির দাম রাখা হয়েছে ১,২১,৭২২ টাকা (এক্স-শোরুম)। যা কিনা স্ট্যান্ডার্ড মডেলটির তুলনায় অনেকটাই সস্তা। আসলে ক্রেতাদের কাছে কম বাজেটের বাইক সরবরাহ করার সদিচ্ছা থেকেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। নয়া মডেলটি আগের তুলনায় আরও বাস্তবিক ডিজাইন সহ এসেছে। বিশেষত সেইসব রাইডারদের জন্য, যারা প্রত্যহ বেশি লোড নিয়ে অনেকটা পথ যাতায়াত করেন।

2025 KTM 390 Adventure S এদেশে কবে লঞ্চ করছে? তারিখ ঘোষণা করল কেটিএম

   

Bajaj Pulsar N160-র বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের দাম

বাজাজ পালসার N160-এর সব ভ্যারিয়েন্টের দাম তুলনা করলে দেখা যায়, নতুন সিঙ্গেল-সিট, সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী। যেখানে স্প্লিট-সিট, ডুয়েল-চ্যানেল এবিএস কুনতে খরচ পড়ে ১,৩১,৬৮০ টাকা (এক্স-শোরুম)। আবার ইনভার্টেড ফর্ক, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি যুক্ত মেডলটির মূল্য ১,৩৯,৬৯৩ টাকা (এক্স-শোরুম)।

Bajaj Pulsar N160-র ডিজাইন ও নতুন ফিচার

নতুন পালসার N160 সিঙ্গেল-সিট ভ্যারিয়েন্ট আগের স্প্লিট-সিট ডিজাইনের পরিবর্তে একটি সিঙ্গল-পিস সিট নিয়ে এসেছে। যা আরও আরামদায়ক এবং যাত্রীদের জন্য বেশি সুবিধাজনক। সিটটি সামনের দিকে সরু, যা রাইডারদের পা সহজে মাটিতে রাখার সুবিধা দেবে। এর পাশাপাশি রিয়ার গ্র্যাব রেলকেও পরিবর্তন করে একক ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত ডিজাইনের দিক থেকে স্ট্যান্ডার্ড পালসার N160-এর মতোই থাকছে, এবং কালার ও গ্রাফিক্স অপশনেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।

SUV-র দামে লঞ্চ হল নতুন শক্তিশালী রেট্রো রোডস্টার বাইক

Bajaj Pulsar N160-র নতুন ভ্যারিয়েন্টে ৩৭ মিমি টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং মোনোশক সাসপেনশন থাকছে। যা আগের মতোই স্টেবল রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স দেবে। তবে, বাইকটির খরচ কম রাখার জন্য সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস ব্যবহার করা হয়েছে।

সামনে রয়েছে ৩০০ মিমি ও পেছনে ২৩০ মিমি ডিস্ক ব্রেক। সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সহ বাইকটিতে ১৭ ইঞ্চি হুইল দেওয়া হয়েছে। যেখানে ১০০-সেকশন ফ্রন্ট ও ১৩০-সেকশন রিয়ার টায়ার থাকছে, যা উভয়ই টিউবলেস।

Bajaj Pulsar N160 সিঙ্গেল সিট ভ্যারিয়েন্টে একটি ১৬৪.৮২ সিসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। যা থেকে ১৬ পিএস শক্তি ও ১৪.৬৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। এটি ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে সংযুক্ত। ফিচারের প্রসঙ্গে বললে, নতুন পালসার N160 ভ্যারিয়েন্টে একটি ডিজিটাল কনসোল থাকছে, যেখানে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, কল অ্যালার্ট, মেসেজ নোটিফিকেশন ও ফুয়েল অ্যালার্ট থাকবে। এছাড়া, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট দেওয়া হয়েছে। তবে, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন ও রাইড মোডস (রোড, রেইন, অফ-রোড) এই ভ্যারিয়েন্টে থাকছে না।

বাজাজ পালসার N160 ভারতের ১৬০ সিসি সেগমেন্টে একাধিক বাইকের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। যার মধ্যে রয়েছে TVS Apache RTR 160 4V, Hero Xtreme 160R 4V, Suzuki Gixxer 155, Yamaha FZ-S Fi V4, TVS Apache RTR 160 এবং Bajaj Pulsar NS160।

প্রসঙ্গত, বাজাজ তাদের Pulsar N160-এর নতুন সিঙ্গেল-সিট ভ্যারিয়েন্ট এনে মধ্য-রেঞ্জ নেকেড বাইকের বাজারে আরও এক নতুন অপশন যোগ করল। যারা ডেইলি ইউজের জন্য বেশি সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী একটি বাইক খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ চয়েস হতে পারে।