বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দেশগুলিকে কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ে বাড়তি নজরদারি, চিকিৎসা পারিকাঠামো ও সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল নিশ্চিত করার আহ্বান দিয়েছেন। পাশাপাশি, কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় দ্রুত অন্তর্ভুক্তি করার জন্য নির্দেশজারি করেছেন ।
প্রতি বছর জানুয়ারির শেষ রবিবার উদযাপিত হয় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস, যা কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। এই দিনটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে কুষ্ঠ ব্যাধি থেকে নির্মূল করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিজিওনাল ডিরেক্টর সাইমা ওয়াজেদ তাঁর এক বিবৃতিতে বলেছেন। “এই রোগকে ঘিরে দীর্ঘদিনের সামাজিক ব্যাধি এখনও একগুঁয়েভাবে মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে, এবং ভুল তথ্য এই চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এবং তাদের পরিবারের সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বৈষম্য এবং কলঙ্ককে আরও বাড়িয়ে তোলে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “বহু-ঔষধ থেরাপি (MDT) এবং ১৯৯১ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের প্রস্তাবনার পর থেকে কুষ্ঠ রোগের বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান।”
#Leprosy is a chronic infectious disease occurring in over 120 countries, with around 200 000 new cases reported every year.
But we can eliminate leprosy. That’s why on #WorldLeprosyDay, we call on all countries to unite and act to achieve this goal.
Current medical… pic.twitter.com/jZ72fzR0kp
— Tedros Adhanom Ghebreyesus (@DrTedros) January 26, 2025
২০২৩ সালে, ১০০টির ও বেশি দেশ থেকে ১,৮২,৮১৫টি নতুন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের ঘটনা সংস্থার রিপোর্টে আসে। যার ৯৫% ২৩টি বৈশ্বিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশে কেন্দ্রীভূত ছিল। উদ্বেগজনকভাবে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫%-এরও বেশি ক্ষেত্রে গ্রেড ২ প্রতিবন্ধিতা (দৃষ্টিগোচর বিকৃতি) পাওয়া গেছে।
২০২১-২০৩০-এর গ্লোবাল কুষ্ঠ রোগ নিরাময় কৌশলের লক্ষ্য হলো শূন্য রোগ, শূন্য প্রতিবন্ধিতা এবং শূন্য কলঙ্ক ও বৈষম্য দূরীকরণ। সম্প্রতি, জর্ডান প্রথম দেশ হিসেবে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলের জন্য ডব্লিউএইচও-র স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া, ২০২৩ সালে ৫৬টি দেশ নতুন কোনো কুষ্ঠ রোগের ঘটনা রিপোর্ট করেনি, যা একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।