ঢাকা: নতুন করে ছাত্র আন্দোলনের জোয়ারে উত্তাল বাংলাদেশ। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে রাজধানীর রাজপথে চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ নিজেদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। বাংলাদেশের অন্দরে নতুন করে ছাত্র আন্দোলন মাথা চাড়া দিতেই উদ্বেগে অন্তর্বর্তী সরকার। (student protests in Bangladesh)
উত্তেজনার আগুনে ফুটেছে ঢাকা student protests in Bangladesh
রাতভর উত্তেজনার আগুনে ফুটেছে ঢাকা৷ হামলা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের উপরে। পাল্টা ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ সহ ৬ দাবি পূরণ না হলে, তাঁরা চরম পথ বেছে নিতে পিছু পা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে৷
রবিবার সারা দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত সাতটি কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশের রাজধানী। ঢাকার নীলক্ষেত মোড়ে দফায় দফায় অশান্তি ও সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলেই খবর। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওই সাত কলেজের সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়৷ সোমবার দুপুরে ওই সাতটি কলেজের পড়ুয়ারা একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে নে ৭ দফা দাবি পেশ করেন৷
সাত দফা দাবি student protests in Bangladesh
তাঁদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাইতে হবে৷ তাঁর ইস্তফার দাবিও জানানো হয়েছে৷ ছাত্রদের উপর হামলার জন্য নিউমার্কেট থানা এলাকার ওসি, এসি-সহ আধিকারিকদের কাজ থেকে বরখাস্ত করার দাবি উঠেছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে বার করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিতে হবে৷ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে৷
বেঁধে দেওয়া হল সময়
৭ দফা দাবি পূরণের জন্য মাত্র ৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন ছাত্ররা৷
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই-অগাস্ট মাসে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনই গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছিল৷ সেই জোয়ারেই পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের৷ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। এই আন্দোলনের ঢেই আরও একবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপট বদলে দেয় কি না, সেটা দেখার বিষয়।