বিজেপি নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, তদন্তে প্রবল জল্পনা

২০২৩ সালে বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন নবনীতা কুইলি বর্মন। ভগবানপুরের(Purba Medinipur) বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।…

Panchayat Pradhan Nabanita Dies After Ingesting Hair Colour Chemical in Purba Medinipur

short-samachar

২০২৩ সালে বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন নবনীতা কুইলি বর্মন। ভগবানপুরের(Purba Medinipur) বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় (Purba Medinipur) মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত মধুর ও সহজ।

   

পাড়ার মানুষের মধ্যে তিনি ছিলেন পরিচিত, এবং তাঁদের মধ্যে এক বিশেষ জায়গা ছিল নবনীতার। তবে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নবনীতার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে তাঁর চুল রং করার কেমিক্যাল খেয়ে মৃত্যুর পর, স্থানীয় (Purba Medinipur) বাসিন্দারা নানা ধরণের অনুমান করতে শুরু করেছেন।

নবনীতার মৃত্যু তমলুকের একটি নার্সিংহোমে হয়েছে, যেখানে তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবনীতার স্বামী ও পরিবারের সঙ্গে কিছু সমস্যা চলছিল। সমাজে তাঁর সক্রিয়তা, দলীয় কাজের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ, এবং শ্বশুরবাড়ির দায়িত্বে কিছু অনীহা ছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান। এতে পরিবারে কিছু অশান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে নবনীতার মৃত্যু কেন হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, তিনি কেন চুল রং করার কেমিক্যাল খেয়ে ফেললেন, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, নবনীতার মৃত্যু এক দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। নবনীতার মৃত্যুর পেছনে কোনও গোপন কারণ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। কিছু প্রতিবেশী দাবি করেছেন, নবনীতার ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা সমস্যায় ছিল, কিন্তু তা কখনোই তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে না। এই রহস্যজনক মৃত্যুর পর, এলাকার মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ একে আত্মহত্যা বলে মনে করছেন, কেউ আবার মনে করছেন এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলেনি, তদন্ত চলতে থাকে।

নবনীতার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি উঠেছে। স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু সমস্যা থাকলেও, নবনীতা কখনওই আত্মহত্যা করতে পারে না, এবং চুল রং করার কেমিক্যাল খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক।

এখন এই ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানা গুঞ্জন তৈরি করেছে। এই মৃত্যুর পিছনে কোনো অপরাধী গোষ্ঠী বা ব্যক্তি জড়িত কিনা, তা তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার হবে। এই ঘটনায় এলাকার রাজনৈতিক পরিবেশও কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, কারণ নবনীতার মৃত্যুর কারণ এবং পরিস্থিতি নিয়ে নানা রকমের আলোচনা চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে এবং সঠিক কারণ বের করতে সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করছে। তারা ডাক্তারের রিপোর্ট ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে, শীঘ্রই নবনীতার মৃত্যুর আসল কারণ পরিষ্কার হবে, যা এলাকাবাসী এবং তাঁর পরিবার সবাই জানতে পারবে।