ঈশানী মল্লিক: জীবনটা একটু সুন্দর হোক (Personal Growth), কে না চায়। লেখালেখি করাও অনেকের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু জীবন সুন্দর করতে চাইলে দিন যাপনের কিছু অভ্যাস বদলাতে হবে। এই বদলানোর শক্তির অভ্যাসে লুকিয়ে থাকে অনেক কিছু। যদি লেখালেখি করতে চান বা শান্তিপূর্ণ একজন মানুষ হয়ে উঠতে চান; যাই করতে চান না কেন নিচের কয়েকটা কাজগু করতেই হবে।
লেখা ভালো করতে চাইলে, বেশি বেশি পড়। লেখার দক্ষতা বাড়াতে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলো। নতুন শব্দ, দৃষ্টিভঙ্গি, আর চিন্তার গভীরতা পেতে পড়া হলো সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
তুমি কীভাবে শুরু করবে?
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট বই বা প্রবন্ধ পড়ো। বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার চেষ্টা করো—উপন্যাস, জীবনী, বা তথ্যনির্ভর বই।
চিন্তাধারা উন্নত করতে চাইলে, বেশি বেশি লেখার অভ্যাস বাড়াতে হবে। লিখতে লিখতেই তুমি নিজের ভেতরের কথা বুঝতে পারবে। লেখার অভ্যাস মানসিক চাপ কমায় এবং সৃজনশীলতা বাড়ায়।
তোমার করণীয়:
প্রতিদিন একটি ছোট ডায়েরি লেখো। নিজের ভাবনা, পরিকল্পনা, বা দিনের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করো।
গল্প বলার ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে, বেশি বেশি শেয়ার করো। তোমার কথা বা অনুভূতি শেয়ার করা আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তোমার কথোপকথনের দক্ষতাও উন্নত করে।
তুমি কী করতে পারো?
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে গল্প করো। তোমার অভিজ্ঞতা বা অনুভূতিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাগ করো।
শরীরের শক্তি ধরে রাখতে চাইলে, বিশ্রাম নাও।
শরীর ও মনের শক্তি টিকিয়ে রাখতে বিশ্রাম অপরিহার্য। ঘুম বা বিরতির অভ্যাস মানসিক এবং শারীরিক শক্তি বাড়ায়।
কীভাবে বিশ্রাম করবে?
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করো। কাজের ফাঁকে ৫-১০ মিনিটের বিরতি নাও।
ভালোভাবে বুঝতে চাইলে, শেখাও।
তুমি যা জানো, তা অন্যদের শেখাও। এতে শুধু তাদের উপকার হবে না, তোমার জ্ঞানও গভীর হবে।
কীভাবে শেখাবে?
বন্ধুদের বা সহকর্মীদের সাহায্য করো। ছোট টিউটোরিয়াল তৈরি করে জ্ঞান শেয়ার করো।
সম্পর্ক উন্নত করতে চাইলে, দানশীল হও।
যত বেশি দানশীল হবে, সম্পর্ক তত মজবুত হবে। সময়, ভালোবাসা, বা সহযোগিতা দিয়ে অন্যদের পাশে দাঁড়াও।
তুমি কীভাবে দানশীল হবে?
সময় বের করে অন্যদের সঙ্গে কথা বলো। ছোট ছোট সাহায্য করার অভ্যাস করো।
সুখী হতে চাইলে, কৃতজ্ঞ হও।
তোমার জীবনের প্রতিটি ছোট বড় বিষয় নিয়ে কৃতজ্ঞ হও। কৃতজ্ঞতার অভ্যাসই প্রকৃত সুখ এনে দেয়।
কৃতজ্ঞতার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায়:
প্রতিদিন তিনটি জিনিস লিখে রাখো, যার জন্য তুমি কৃতজ্ঞ। চারপাশের ছোট ছোট ইতিবাচক মুহূর্তগুলোতে মনোযোগ দাও।
তোমার অভ্যাসই তোমার ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজই সঠিক অভ্যাস শুরু করো। ছোট ছোট পরিবর্তনই একদিন বড় সাফল্যে পরিণত হবে।