‘তিলক… দ্য রাউজ’

Tilak Varma: চোখধাঁধানো ইনিংসে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিলক বর্মা। তাঁর ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানে ভর করেই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে দু’উইকেটে হারায় টিম ইন্ডিয়া।…

Tilak Varma

Tilak Varma: চোখধাঁধানো ইনিংসে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিলক বর্মা। তাঁর ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানে ভর করেই হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে দু’উইকেটে হারায় টিম ইন্ডিয়া। টি-২০ সিরিজে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।

প্রথমে ব্যাট করে ন’উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জস বাটলার ৩০ বলে ৪৫ ও ব্রাইডন কার্স ১৭ বলে ৩১ রান করেন। ভারতের পক্ষে বল হাতে সফল অক্ষর পটেল (২/৩২) ও বরুণ চক্রবর্তী (২/৩৮)। 

   

জবাবে ৭৮/৫ অবস্থায় ধুঁকছিল ভারত। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১৯ বলে ২৬) সঙ্গী করে দলকে জয়ের রাস্তায় নিয়ে যান তিলক। টেল-এন্ডারদের আড়াল করে কার্যত একার হাতে জয় এনে দেন দলকে। তবে এর পিছনে অন্য একটা গল্পও আছে।

অনেকেই নোটিশ করেননি, দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেক শর্মা আউট হতেই ব্যাট করতে নামে তিলক বর্মা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন সূর্য কুমার যাদব।

আসলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে লাগাতার সেঞ্চুরি করার আগে সূর্যের কাছ থেকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিলক বর্মা, সূর্য সেটা মেনে নিলেও, ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে সূর্য নিজে ব্যাট করে, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে তিলককে তিন নম্বরে নামাতেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়।

আসলে ডানহাতি স্যামসন আউট হওয়ায় আগের ম্যাচে ব্যাট নামে সূর্য, আর আজ বাঁহাতি অভিষেক আউট হতেই ব্যাট করতে নামে তিলক। একদিকে যখন টিম ইন্ডিয়া একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে, তখন অন্য প্রান্ত থেকে একে পর এক দুরন্ত শট খেলে চলেন তিলক, তার ৭২ রানের ইনিংস যেমন ম্যাচ জিতিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে, পাশাপাশি সূর্যকুমার যে তার জায়গা ছেড়ে দিয়েছে তিলকের জন্য, সূর্যের সেই আত্মত্যাগের যথার্থ দাম দিয়েছে তিলক বর্মা। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সেঞ্চুরি করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত একবারের জন্যও আউট পর্যন্ত হননি তিলক বর্মা। হোয়াট এ রাইজ।

আরও একটা বিষয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অবাক করেছে। তিলকের জোফরা আর্চারকে সুইপ করে ছক্কা হাঁকানো। যে বলটায় তিনি ছয়টা মারেন স্পীডোমিটারে বলটার গতি দেখাছিল ১৫০. ৩ কিমি প্রতি ঘন্টা। সেই বলকে সুইপ করে ৮২ মিটারের বিশাল ছয়। এই দুরন্ত শটে পাশাপাশি তিলক অসাধারণ পরিপক্কতা দেখিয়ে ম‍্যাচটাও জেতায় ভারতকে।

সালটা ১৯৯৪ হবে, কপিল দেবের তখন শেষ সময়। বলের গতি মনে হয় ১৩০ এর আশে পাশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এর সাথে একদিনের ম‍্যাচ চলছে, ফিল সিমন্স কপিলকে সুইপ মারে। খুব সম্ভবত তারপরই কপিল অবসর নেবার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিলক মারলেন ফর্মে থাকা আর্চারের ১৫০ প্লাস গতির বলকে সুইপ করে ছয়। বলাই যায় ‘তিলক… দ্য রাউজ’।