রবিবার সকালে শালিমার থেকে সাঁতরাগাছি পর্যন্ত রেলপথে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। পদ্মপুকুর স্টেশনের কাছে তিরুপতি এক্সপ্রেসের সঙ্গে অন্য একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়, যার ফলে তিরুপতি এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ফলে শালিমার-সাঁতরাগাছি রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাপকভাবে পরিবহণ ব্যাহত হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর বেলা, যখন তিরুপতি এক্সপ্রেস শালিমারের দিকে যাচ্ছিল এবং অপর এক্সপ্রেস ট্রেনটি তখন উল্টো দিকে আসছিল। দুটি ট্রেনই খালি ছিল, তবে ঠিক কী কারণে এই সংঘর্ষ ঘটল, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। প্রতিটি ট্রেনের বগি ছিল খালি, তবে এই দুর্ঘটনায় তিরুপতি এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং অপর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিও লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
রেলের সূত্র অনুযায়ী, ঘটনার পরপরই রেল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা দ্রুত লাইনচ্যুত বগিগুলি সরানোর কাজে হাত দেন। তবে এখনো দুর্ঘটনার সঠিক কারণ কী, তা জানতে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
এই দুর্ঘটনার কারণে শালিমার থেকে সাঁতরাগাছি রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা যাত্রীদের জন্য ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শীঘ্রই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য তাদের চেষ্টার তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই দুর্ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও, রেলের উদ্ধার কাজ দ্রুত শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যারা ওই লাইনে যাত্রা করেছেন, তাদের জন্য যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্নও উঠেছে। তিরুপতি এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়া অপর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগির অবস্থা এবং অন্যান্য ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজও চলছে।
রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও সতর্কতা এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য আপাতত পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।