৭৭-এ সত্যেন্দ্রনাথের ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’

বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলির অগ্রগতির পথপ্রদর্শক। বিজ্ঞানকে জনমানবের কাছে পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভারতের জাতীয় স্তরের অধ্যপক ও…

Bangiya Bijnan Parishad by Satyendra Nath Bose

বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলির অগ্রগতির পথপ্রদর্শক। বিজ্ঞানকে জনমানবের কাছে পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ভারতের জাতীয় স্তরের অধ্যপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু (Satyendra Nath Bose) ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীন ভারতে বিজ্ঞান বিষয়ক আন্দোলনের সূচনা হয় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের হাত ধরে।

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই ভারতবর্ষে বিজ্ঞানের অগ্রগতির প্রয়োজন অনুভূত হয়। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী, যথা মেঘনাদ সাহা, হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ প্রমুখ বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য ভাবলেও মাতৃভাষায় বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য স্যার সত্যেন্দ্রনাথ বসুর উদ্যোগে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি, কলকাতায় ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি মনে করতেন, বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য মাতৃভাষা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই মুখপত্র হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের উদ্যোগে বাংলা ভাষায় ‘জ্ঞান-বিজ্ঞান’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এখান থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক পুস্তকও প্রকাশিত হয়।

   

গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেন। পুলিন বিহারী দাসের সঙ্গে তিনি অক্লান্তভাবে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের কর্মকাণ্ডে শ্রম দেন। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ নামক বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সত্যেন্দ্রনাথ বোস ই প্রথম বলেছিলেন শুধু কথা বলা নয়, মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চা ই সাধারণ মানুষের উন্নয়ন এর একমাত্র পথ। যার ফলশ্রুতি- ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ নির্মিত হয় তাঁরই অনুপ্রেরণায়।