হোঁচট কাটিয়ে বছরের প্রথম জয় মশালবাহিনীর

তিন ম্যাচ পরাজিত হওয়ার পর ফের জয়ের সরণিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা…

East Bengal Kerala Blasters

তিন ম্যাচ পরাজিত হওয়ার পর ফের জয়ের সরণিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। পূর্ণ সময় শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় মশাল ব্রিগেড। এদিন দলের হয়ে গোল করে যান যথাক্রমে পিভি বিষ্ণু এবং হিজাজি মাহের। অপরদিকে কেরালা দলের হয়ে ব্যবধান কমিয়ে যান দানিশ ফারুক। যারফলে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেদের ঘরের মাঠে বছরের প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল।

বলাবাহুল্য, হোম ম্যাচ থাকায় এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে খেলতে দেখা গিয়েছিল ক্লেটন সিলভাদের। আসলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না কারুর কাছেই। বর্তমানে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা ও ঠিক একই রকম। হতাশাজনক ভাবে ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল কলকাতা ময়দানের প্রধান দলকে‌। তারপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ভাবনা থাকলে ও সেটা খুব একটা সহজ ছিল না। পরাজিত হতে হয়েছিল টানা ছয়টি ম্যাচ। তারপর কোচ বদলের পর থেকেই ধীরে ধীরে নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে মশাল ব্রিগেড।

   

কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম লেগেই একাধিক ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় প্রভাব পড়েছিল পয়েন্ট টেবিলে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সুপার সিক্সের লড়াই অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠেছে তাঁদের কাছে। বলতে গেলে এখন যেন প্রত্যেকটা ম্যাচই ফাইনাল ম্যাচ এই দলের কাছে। সেই মনোভাব নিয়েই এদিন যুবভারতীর বুকে খেলতে নেমেছিল গোটা দল। প্রথম থেকেই তাদের ঘনঘন আক্রমণ তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। বিশেষ করে দলের নয়া ফুটবলার রিচার্ড সেলিস আসার পর থেকেই যেন শক্তি ফিরতে শুরু করেছে এই ফুটবল দলের। এসবের মাঝেই ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আক্রমণে উঠে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই সময় বল নিয়ে উইং থেকে অনায়াসেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়েছিলেন পিভি বিষ্ণু।

তাঁকে আটকাতে পারেননি কেরালা দলের দুই ডিফেন্ডার। সেই বল নিয়েই নিখুঁত ফিনিশ। বিষ্ণুর এমন গোল খুশি করেছে সকলকে। পরবর্তীতে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেওয়ার ও সুযোগ পেয়েছিলেন কেরালার এই ফুটবলার। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি।। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই প্রবল চাপ বাড়াতে শুরু করে আদ্রিয়ান লুনারা। তবে সুযোগ বুঝে পাল্টা আক্রমণ করতে ভোলেনি ইস্টবেঙ্গল। ৭২ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ভাসানো বল হেড করে সোজা গোলে ঠেলে দেন ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের। পরবর্তীতে ফারুকের গোলে কেরালা ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও ম্যাচে ফিরে আসা আর সম্ভব ছিল না নোয়া সাদাউদের কাছে।