কয়েকদিন পরেই দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচন(Delhi Assembly polls)। তার আগে রাজ্যের বেকারত্ব দূরীকরণের পথে হাঁটলেন আপ নেতা আরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় দিল্লির বেকারত্ব নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন,পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে দিল্লির যুবকদের জন্য বেকারত্ব পুরোপুরি দূর করার কাজ করবেন।
কেজরিওয়াল জানান, “আমার প্রধান লক্ষ্য হবে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আমাদের দল বর্তমানে বেকারত্ব দূর করার জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে।” আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেল থেকে জামিন পাওয়ার পর, একাধিক কর্মসূচিতে দিল্লীর বেকার যুবকদের নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তাই তিনি জানিয়েছেন দিল্লীর বিধানসভা ভোটে জয়ী হলে, প্রধান এবং প্রথম কাজ হবে বেকারত্ব দূর করা।
তিনি তার সরকারের পূর্বের কর্মসূচির উপরও আলোকপাত করেন। কেজরিওয়াল বলেন, “পাঞ্জাবে আমাদের সরকার গত দুই বছরের মধ্যে ৪৮,০০০ সরকারি চাকরি প্রদান করেছে এবং তিন লাখেরও বেশি যুবককে বেসরকারি খাতে চাকরি পেতে সাহায্য করেছে।” এর মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছেন যে, তাদের সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। দিল্লিতেও একইভাবে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে তারা প্রস্তুত।
এএপি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা যুবকদের জন্য বিভিন্ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। কেজরিওয়াল জানান, সরকার শুধু সরকারি চাকরি প্রদানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বড় ধরনের উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি এমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে, যা শুধু বেতনভুক্ত কাজ নয়, বরং নিজেদের উদ্যোগেও যাতে যুবকরা এগিয়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেছেন বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই কাজ চলছে। যেখানে- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও সড়ক ব্যাবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলির ওপর তাদের সরকার জোর দিয়েছেন। আপ নেতা জানিয়েছেন দিল্লীর অধিকাংশ যুবক শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও কাজ পাচ্ছেন না। ফলে বেকারত্ব থেকে মুক্ত হতে পরবর্তী সময়ে তারা নানা অসামাজিক ও নিম্ন মানের কাজের সাথে নিজেদের নিযুক্ত করছেন। পরবর্তী সময়ে তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
দিল্লি বাসিকে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরিয়ে বলেছেন, তাঁর সরকার পাঞ্জাবে দু, বছরের কম সময়েই প্রায় ৫০ হাজার সরকারি কাজের শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন সে রাজ্যের বেকার যুবকদের হাতে। এছাড়াও তিন লক্ষ্য বেসরকারী কাজের কর্ম সংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আতএব তাঁর সরকারা জানেন কিভাবে সৎ ভাবে কর্ম সংস্থান গড়ে তোলা যায়। আর ঠিক সেই পথকেই এবার আনুসরন করে, আগামী পাঁচ বছরে দিল্লীকে বেকার শুন্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন।