পিটিআইয়ের সাথে আলোচনা স্থগিত,শেহবাজয়ের সরকার নতুন সংকটে

পাকিস্তানের শাসক সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) দলকে তৃতীয় দফার আলোচনার পরও সংলাপে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।     পিটিআই জানিয়েছে যে তারা সরকারের…

PTI

short-samachar

পাকিস্তানের শাসক সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) দলকে তৃতীয় দফার আলোচনার পরও সংলাপে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

   

পিটিআই জানিয়েছে যে তারা সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি নয়, যতক্ষণ না একটি বিচারিক কমিশন গঠন করা হয়। পাকিস্তানের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ২৮ শে জানুয়ারি চতুর্থ দফা আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এরআগে তিনটি দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে পিটিআই দুটি বড় দাবি করেছিল। যার মধ্যে অন্যতম হলো ৯ ই মে এবং ২৬ শে নভেম্বরের সহিংস ঘটনাগুলির তদন্তের জন্য বিচারিক কমিশন গঠন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৯ ই মে ইমরান খান প্যারামিলিটারি বাহিনীর হাতে আটক হন। এর প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই সমর্থকরা এবং কর্মীরা পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জুড়ে ইমরান খানের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল।

এবং আরেকটি বড়ো বিক্ষোভ ২০২৪ সালের ২৬ শে নভেম্বর হয়েছিল। ওই বিক্ষোভের সময় ইসলামাবাদে ইমরান খানের সমর্থকরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছিল। যার মধ্যে চারজন নিরাপত্তা কর্মীও ছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে যখন একটি গাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ঢুকে পড়ে।

পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব এক টুইটে লিখেছেন, “কোনো কমিশন না হলে, কোনো আলোচনা নয়।” এছাড়া, এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি আরও বলেছেন পিটিআই কোনো অবস্থাতেই সরকারের সাথে আলোচনা করতে রাজি নয় যতক্ষণ না পর্যন্ত দুটি পৃথক বিচারিক কমিশন গঠন করা হবে। যা ওই দুটি বড় ঘটনা তথা ৯ ই মে এবং ২৬ নভেম্বরের সহিংস ঘটনাগুলির তদন্ত করবে।

সরকারের পক্ষ থেকে উত্তরের অপেক্ষায় থাকা পিটিআইয়ের দাবির প্রতি সান্নিধ্যপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রশাসন পিটিআইকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে পিটিআইয়ের দাবির লিখিত উত্তর প্রদান করা হবে।

পিএমএল-এন এর সিনেটর ইরফান সিদ্দিকি একই বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা পিটিআইকে আশ্বস্ত করছি যে, আমরা তাদের চাহিদাগুলির উত্তর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দেব।”তিনি বলেন, “পিটিআই প্রথম আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল, তাই তাদের এই প্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। আমরা তাদের দাবি নিয়ে কাজ করছি এবং একটি সঠিক উত্তর প্রদান করব।”

পিটিআইয়ের অন্যতম প্রধান দাবি হলো ৯ মে ২০২৩ এবং ২৬ নভেম্বর ২০২৪ এর সহিংস প্রতিবাদ এবং দেশব্যাপী সহিংসতা সম্পর্কিত দুটি আলাদা বিচারিক কমিশন গঠন করা। পাশাপাশি পিটিআইয়ের সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়া। তবে পিএমএল-এন নেতা খুররম দস্তগীর খান স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, ৯ মে এর দাঙ্গার বিষয়ে সরকার কোন আপস করবে না।

পিটিআই এবং সরকারের মধ্যে আলোচনার পুনঃসূচনা হয় গত ডিসেম্বর মাসে। এর আগে পিটিআই আলোচনায় তাদের দাবি লিখিতভাবে প্রকাশ করতে রাজি ছিল না। তবে ইমরান খান থেকে অনুমতি পাওয়ার পর পিটিআই তাদের দাবি লিখিতভাবে সরকারকে জমা দিয়েছে।