ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সহ বেশ কিছু আইএসএল ক্লাবের মেয়েদের ফুটবল টিম থাকলেও মোহনবাগান (Mohun Bagan) এখনও সেই খাতায় নাম লেখাতে পারেনি। অথচ তারা ৬০ কোটি টাকা খরচ করে আইএসএল (ISL) খেলছে। এই ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার কার্শিয়াংয়ের ক্রিসপিন ছেত্রী (Crispin Chettri)।
ফুটবল মহলে ‘ক্রিস’ নামে পরিচিত এই প্রাক্তন ফুটবলার বর্তমানে মেয়েদের ফুটবলের একজন সফল কোচ। চার বছর আগে ‘এ’ লাইসেন্স কোচিং ডিগ্রি অর্জনের পর এখন তিনি প্রো লাইসেন্স ডিগ্রি নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ক্রিসপিন ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় কিংবদন্তি শ্যাম থাপার হাত ধরে। উইলিয়ামসন মেগর ফুটবল অ্যাকাডেমিতে তার অভিষেক। এরপর খেলেন বেঙ্গল মুম্বইয়ে। সেখান থেকে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপান। তবে সেখানে মাত্র এক মরশুম খেলেন এই কারশিয়াং ফুটবলার। পরবর্তীতে স্টেট লেভেলে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেন।
আগামীতে মাসে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের নতুন কোচ হিসাবে ক্রিসপিন চেত্রী পিঙ্ক লেডিস কাপে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। টুর্নামেন্টটি ২০২৫ সালের ১৯-২৭ শে ফেব্রুয়ারি, দুবাইয়ের সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে।
মোহনবাগানের প্রতি তার অগাত ভালোবাসা। তবে তিনি মনে করেন কলকাতায় ইউনাইটেড স্পোর্টস না থাকলে তার ফুটবল জীবন পূর্ণ হতো না। ইউনাইটেডে ছ’টি বছর খেলার পর কোচিং শুরু করেন নবাব ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে।
বর্তমানে ওডিশা এফসি-র মহিলা ফুটবল টিমে কোচিং করছেন ক্রিস। গত মরশুমে ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগে শীর্ষে ওঠে ওডিশা। তাঁর কোচিংয়ের হাত ধরে ওডিশার মেয়েরা জাতীয় গেমসে সোনা জিতেছে।
তবে ক্রিসপিনের আক্ষেপ রয়েছে। তিনি বলেন, “দেশের অধিকাংশ ফুটবল ক্লাব যখন মেয়েদের ফুটবল টিম গড়ছে তখন মোহনবাগান কেন পিছিয়ে আছে, সেটা বুঝতে পারি না।”
তিনি মনে করেন যদি মোহনবাগান মেয়েদের ফুটবল টিম তৈরি করে তা ভারতের মেয়েদের ফুটবলের উন্নতিতে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে মেয়েরা মোহনবাগানের জনপ্রিয়তায় সংযুক্ত হতে পারবে।
ক্রিসপিন বর্তমানে ওডিশা এফসি-র সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। ভারতীয় মহিলা ফুটবল টিমের কোচ হওয়ার জন্য এআইএফএফ তাকে প্রস্তাব দিয়েছে, তবে চুক্তির কারণে তিনি তা গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি মনে করেন উত্তরবঙ্গ আজও বাংলার ফুটবলের সবচেয়ে বড় সাপ্লাইলাইন এবং সেখানে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে যাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় উন্নতি করা গেলে বাংলা ফুটবলের উন্নতি সম্ভব।