খেলাধুলো বাদ দিয়েই পঞ্চাশে নেতাজি ইন্ডোর, সঙ্গী শুধুই রাজনীতির রঙ্গ

50 Years of Netaji Indoor Stadium: ২৩ জানুয়ারি, দিনটা প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে বিশেষ স্মরণীয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের জন্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে খেলাধুলার সঙ্গে যারা জড়িয়ে…

50 Years of Netaji Indoor Stadium

50 Years of Netaji Indoor Stadium: ২৩ জানুয়ারি, দিনটা প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে বিশেষ স্মরণীয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের জন্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে খেলাধুলার সঙ্গে যারা জড়িয়ে তাদের কাছে এই দিনটাকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে তুলেছিলেন এই রাজ্যর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়। ১৯৭৫ সালে ২৩ জানুয়ারি তিনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। লক্ষ্য এই রাজ্যে বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ করা।

ভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন মূলকর্তা রাঙারামানুজম যখন ময়দানে খোলা মাঠে প্যান্ডেল বেঁধে বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের কথা বিশ্বের টেবিল টেনিস সংস্থার সচিব রয় ইভান্সকে বললেন, সঙ্গী প্রবীর মিত্র ও গোপীনাথ ঘোষ , তখন তিনি হেসে ফেলেছিলেন। সেই সময় ওই জায়গায় ময়দানে বইমেলা অনুষ্ঠান হতো। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের নজরে যখন বিষয়টিআনা হয় তখন তিনি ইভান্সকে বলেছিলেন কলকাতাতেই বিশ্ব টেবিল টেনিস হবে নতুন স্টেডিয়াম করে। কিন্তু সময় কই ? মাত্র তো দশ মাস?

   

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় বলেছিলেন ১০ মাসের মধ্যেই আমি স্টেডিয়াম করে দেখিয়ে দেবো আর আপনিও বিশ্বের ৭০টা দেশের প্রতিনিধি নিয়ে এসে এই রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন। স্টেডিয়াম গড়ার মূল কারিগর, জে সি তালুকদার। ১৯৭৫ সালে ২৩ জানুয়ারি যেদিন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় আনুষ্ঠানিকভাব ইন্ডোর স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন সেদিন তিনি নিজে টেবিল টেনিস খেলেছিলেন।‌ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দুটি খেলার ব্লু যে টেবিল টেনিসও ভালো খেলতেন। এখন ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কি হয়? রাজনৈতিক সভা এবং সেই সঙ্গে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা।

আজ সেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্য সরকার, এই রাজ্যের টেবিল টেনিস সংস্থা, রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদ, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন কিভাবে দিনটা স্মরণীয় করে রাখা হবে তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনার খবর মেলেনি।‌

বাংলার প্রবীণ ক্রীড়াবিদদের মতে, ‘ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুধু টেবিল টেনিস নয়, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবা , জিমনাসিয়াম কাবাডি খোখো এবং বিভিন্ন ইন্ডোর গেমে অংশ নেওয়া গত ৫০ বছরে অনেকেরই স্মৃতিচারণ করে কিছু একটা করা যেত।’ তাঁদের কিছুজনের মত, ‘টেবিল টেনিসকে এখনও যিনি আঁকড়ে ধরে রয়েছেন কোন ক্ষমতার মোহে নয় , রবি চ্যাটার্জী, যিনি ওই সময়ে সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে বেঙ্গল টেবিল টেনিস এসোসিয়েশনের সচিব পদের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি আজ বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে কিছু বক্তব্য তুলে ধরতে পারলে তরুণ প্রজন্মের কাছে তা পাথেয় হতেই পারে।’