শিয়ালদহ ডিভিশনে (Train) সম্প্রতি রেলের কাজের কারণে বিশাল পরিমাণে ট্রেন বাতিল হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী সোমবার পর্যন্ত চলবে এই কাজ, এবং এই সময়ের মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনের ৩০০টি লোকাল ট্রেন (Train) বাতিল করা হয়েছে।
এর ফলে অনেক যাত্রীদের জন্য চূড়ান্ত ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রেলের (Train) তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, ফলে যাত্রীরা অনেকটা সময়ের জন্য অতিরিক্ত যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
শিয়ালদহ (Train) ডিভিশন কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ডিভিশন, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অফিস, ব্যবসা, শিক্ষা এবং অন্যান্য প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। এই ডিভিশনের বেশ কিছু রুটে লোকাল ট্রেন চলাচলই প্রায় একমাত্র পরিবহণ ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমানে চলমান কাজের কারণে ট্রেনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যাত্রীদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সকাল ও বিকেলের মতো পিক আওয়ারে ট্রেনের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে যাত্রীদের ভীষণ দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই কাজটি অত্যন্ত জরুরি এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধা সুনিশ্চিত করতে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে, একই সঙ্গে তারা দাবি করছে যে, যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাস ও অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। যাত্রীদের কাছ থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, কারণ পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হতে পারে।
এছাড়া, যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ট্রেন বাতিল বা সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক যাত্রী নিয়মিত শিয়ালদহ থেকে কলকাতা শহরে যাতায়াত করেন এবং তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কোনো যথাযথ সমাধান নেই। ফলে তাঁদের প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে এবং পরিবহণের জন্য অতিরিক্ত খরচও করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, নিত্যযাত্রীদের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষ যদি কিছুটা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করত, তাহলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। যাত্রীদের অভিযোগ, কাজের সময়সূচি জানিয়ে দেওয়ার পরেও রেল কর্তৃপক্ষ অনেক সময় আগে থেকে পরিবর্তন বা বাতিলের বিষয়ে সচেতন করে না, যা যাত্রীদের জন্য আরও বেশি সমস্যা তৈরি করে।
যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান না হলে শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। রেল কর্তৃপক্ষের উচিত যাত্রীদের সুবিধা ও অসুবিধার দিকে আরও নজর দেওয়া এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।