গ্যাস, খাদ্য ও সার ভর্তুকি বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বড় পদক্ষেপ

Budget 2025: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আগামী আর্থিক বছরের জন্য খাদ্য, সার, এবং রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে পারে । যা ভারতীয় মুদ্রায় মোট ৪.১ ট্রিলিয়ন…

UNION BUDGET

short-samachar

Budget 2025: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আগামী আর্থিক বছরের জন্য খাদ্য, সার, এবং রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে পারে । যা ভারতীয় মুদ্রায় মোট ৪.১ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। এটি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৮% বৃদ্ধি পাবে এবং এর মূল কারণ হল খাদ্য এবং শক্তির খরচের বৃদ্ধি। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারের খাদ্য ভর্তুকি প্রায় ৫% বৃদ্ধি পেয়ে ভারতীয় মুদ্রায় ২.১৫ ট্রিলিয়ন হতে পারে।

   

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট (Budget 2025) উপস্থাপন করবেন। যাতে দেশের অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে এই বাজেট গঠিত হবে। ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক মন্দা প্রধানত শহুরে অঞ্চলে দুর্বলতা এবং কোম্পানির বিনিয়োগের অভাবের কারণে হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। তবে, গ্রামীণ অর্থনীতি, যেখানে অনেক বড় ভর্তুকি প্রদান করা হয়, এবার তা পুনরায় পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখাচ্ছে। এই অবস্থায় ভর্তুকি বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, খাদ্য ভর্তুকির জন্য সরকার ২০২৫ সালের বাজেটে প্রায় ৫% বৃদ্ধি আনবে। যা ভারতীয় মুদ্রাতে ২.১৫ ট্রিলিয়ন হতে পারে। সরকারের খাদ্য ভর্তুকির বর্তমান বাজেট ২০২৪ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ২.০৫ ট্রিলিয়ন।

খাদ্য ভর্তুকির বৃদ্ধি হবে প্রধানত চাষিদের কাছ থেকে চাল কেনা এবং স্টোরেজ খরচের বৃদ্ধির কারণে। এর পাশাপাশি, রান্নার গ্যাসের জন্যও ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হতে পারে। রান্নার গ্যাসের জন্য আগামী বছরের জন্য প্রায় ২৫০ বিলিয়ন বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে। যা চলতি বছরের ১১৯ বিলিয়ন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

ফার্টিলাইজার ভর্তুকি পরবর্তী বছরের জন্য বর্তমান বছরের পর্যায়েই থাকতে পারে, যা প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন হতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ, খাদ্য, এবং সার মন্ত্রণালয়গুলি ভর্তুকির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারেনি, তবে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে যে এই বৃদ্ধি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি এবং জনগণের জন্য একটি বড় ধরনের সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।

সরকার আগামী বাজেটে খাতভিত্তিক সহায়তার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে, যার ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও উন্নত জীবনযাত্রার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

অন্যদিকে খাদ্য, জ্বালানি এবং সার খাতে সরকারের এই বিপুল বরাদ্দের ফলে সরকার একটি শক্তিশালী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করবে, যা সাধারণ মানুষকে সমর্থন প্রদান করবে। পাশাপাশি, সরকারের বাজেট পরিকল্পনা এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ভারতের অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য, এবং সেবা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়া ভারতের বাজেট ঘোষণার আগেই দেশের বৃহত্তম অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলির দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক ধীর গতি, এবং বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।