ফের উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার,মৃত ৪

দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের(UP Police)। পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইয়ে সোমবার রাত ২.৩০ নাগাদ কাগ্গা গ্যাংয়ের ৪ সদস্য এনকাউন্টারে নিহত হয়। এই চার…

UP Police: Another Encounter in Uttar Pradesh, 4 Criminals Killed

দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের(UP Police)। পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইয়ে সোমবার রাত ২.৩০ নাগাদ কাগ্গা গ্যাংয়ের ৪ সদস্য এনকাউন্টারে নিহত হয়। এই চার কুখ্যাত অপরাধীর মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল এক লক্ষ টাকা। এই অভিযানে গুলির লড়াইয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযানটি শামলী জেলার ঝিনঝানা এলাকা থেকে শুরু হয়। এসটিএফের মিরাট টিম তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে।

   

সূত্র অনুযায়ী, দুষ্কৃতীদের গাড়ি আটকানোর সময় তারা পুলিশের উপর গুলি চালায় এবং পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলা গুলির লড়াইয়ের পর পুলিশ ৪ জন দুষ্কৃতীকে খতম করে। এই চারজনের মধ্যে অন্যতম ছিল আরশাদ। সে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের টার্গেট ছিল। আরশাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল, যার মধ্যে লুঠ, ডাকাতি, হত্যা এবং আরও অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার মাথার দাম ছিল ১ লক্ষ টাকা। পুলিশ তাকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। সোমবার তার শেষ পরিণতি ঘটল।

এনকাউন্টারের পর, পুলিশ দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। যার মধ্যে দেশি কারবাইন বন্দুকও ছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ এবং তার আধুনিকতা পুলিশকে আরও নিশ্চিত করেছে যে, এই গ্যাংটি কার্যত একটি ভয়ংকর অপরাধী সংগঠন ছিল। এনকাউন্টারের সময় আহত হন এসটিএফের ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার। তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে করনালের অমৃতধারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গুরুগ্রামের বেদান্ত হাসপাতালে রেফার করা হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (UP Police) ২০১৭ সাল থেকে অপরাধ দমন অভিযানে অত্যন্ত সক্রিয়। এই ৭ বছরে পুলিশ একাধিক বড় এনকাউন্টার অভিযান পরিচালনা করেছে। যার ফলে অপরাধের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ২১৭ জন অপরাধী এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের এই ধরণের অভিযান কেবল অপরাধীদের দমনই নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানটি অপরাধীদের বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ৭৫৪৬ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। যোগী রাজ্যের সরকারের নেতৃত্বে এই অভিযানগুলোর জন্য কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হলেও সরকার দুষ্কৃতী দমনে পিছু হটেনি। তার মতে, সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।